• অনলাইনে অর্ডার করা জন্মদিনের কেক খেয়ে মৃত্যু! শিশুর পরিবারের উপস্থিত বুদ্ধিতে দোকানের পর্দা ফাঁস
    এই সময় | ০২ এপ্রিল ২০২৪
  • জন্মদিনের কেক খেয়ে মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়েছিল ১০ বছরের শিশু। পঞ্জাবের পাটিয়ালার এই ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে সর্বত্র। জানা গিয়েছিল, কেকটি অনলাইনে অর্ডার করা হয়। অনুমান করা হচ্ছে, কেক থেকে বিষক্রিয়ার জেরেই মৃত্যু হয়েছে ওই শিশুর।জানা গিয়েছে, যে বেকারি থেকে কেকটি অর্ডার করা হয়েছিল এবং ডেলিভারি করা হয়, সেটি আসলে ভুয়ো। ডেলিভারিতে উল্লেখ করা ঠিকানায় হানা দেয় পুলিশ। তবে কোনও কেকের দোকান পাওয়া যায়নি সেখানে। প্রথমে উঠে আসে 'কানহা ফার্ম বেকারি'-র নাম। তবে পরবর্তীতে পুলিশি তদন্ত উঠে আসে 'নিউ ইন্ডিয়া' বেকারির নাম। ইতিমধ্যেই এই সংস্থার কর্মচারীদের গ্রেফতার করা হয়েছে। মালিক এখনও পলাতক। তার খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।

    ১০ বছরের শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় 'নিউ ইন্ডিয়া' বেকারির মালিক সহ চারজন কর্মচারীর বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই FIR দায়ের করেছে পঞ্জাব পুলিশ।

    কী ভাবে সন্ধান মিলল আসল বেকারির?পাটিয়ালার মর্মান্তিক ঘটনার পর মৃত শিশু মানভির পরিবারের সদস্যরা কেক ডেলিভারি সংস্থা 'কানহা ফার্ম'-এর বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। জানা যায়, সেই নামে কোনও বেকারিই নেই পাটিয়ালাতে। এরপর পরিবারের সদস্যরা নিজেরাই বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। ৩০ মার্চ ফুড ডেলিভারি অ্যাপ জোম্যাটোর মাধ্যমে ওই 'কানহা ফার্ম' বেকারি থেকেই আরও একটি কেক অর্ডার করে মানভির পরিবার। ডেলিভারি এজেন্ট কেক পৌঁছতে এলে তাকে পাকড়াও করে পরিবার। এরপর পুলিশকে ডাকা হয়। ডেলিভারি এজেন্টকে নিয়েই নির্দিষ্ট কেকের দোকানে পৌঁছয় পুলিশ। জানা যায়, 'কানহা ফার্ম' নামের বেকারিটি সম্পূর্ণ ভুয়ো। কেক তৈরি হয়েছে নিউ ইন্ডিয়া নামে অপর একটি বেকারিতে।

    পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, 'নিউ ইন্ডিয়া' সংস্থার মালিকই 'কানহা ফার্ম' নামে একটি ভুয়ো সংস্থা খুলে কেক বিক্রি শুরু করেছিল। অনলাইন ডেলিভারির জন্য এই 'কানহা ফার্ম' নামটিই ব্যবহার করা হচ্ছিল। সিটি এসপি বলেন, 'অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা রুজু করা হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত বেকারির মালিক অধরা।'

    ঠিক কী ঘটেছিল?পরিবার, বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে হইহই করে জন্মদিন পালন করার শখ ছিল পঞ্জাবের মানভির। মেয়ের ১০ বছরের জন্মদিনটা বড় করে উদযাপন করার জন্য অনলাইনে কেক অর্ডার করেছিলেন মা কাজল। অনলাইন থেকে অর্ডার করে আনা হয়েছিল পছন্দসই বার্থডে কেকও। কিন্তু, সেই কেক খেয়েই মর্মান্তিক পরিণতি হল মানভির। কেক খাওয়ার পর থেকেই অসুস্থ বোধ করে সে। তারপরই বমি করতে শুরু করে সে। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে তাঁকে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।
  • Link to this news (এই সময়)