• 'সারা রাত কাজ করেছেন', জলপাইগুড়িকাণ্ডে ডাক্তার-নার্সদের প্রশংসায় শুভেন্দু
    এই সময় | ০২ এপ্রিল ২০২৪
  • মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যপালের পর এবার জলপাইগুড়িতে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ঝড়ে আহত গ্রামবাসীদের দেখতে হাসপাতালে পৌঁছে যান তিনি। আহতদের সঙ্গে দেখা করার পরে হাসপাতালের চিকিৎসক ও নার্সদের ভূয়সী প্রশংসা করলেন শুভেন্দু। একইসঙ্গে সঙ্গে পিড়িতদের হাতে জামাকাপড়, ওষুধ, খাবার সহ বিভিন্ন প্রয়োজনীয় সামগ্রী তুলে দেওয়ার আর্জিও জানান তিনি। শুভেন্দু অধিকারী বলেন, 'ডাক্তারবাবু ও নার্সদের ধন্যবাদ দেব, সারা রাত্রি ধরে কাজ করেছেন। জলপাইগুড়ি ও উত্তরবঙ্গের এনজিওদের কাছে আবেদন করব, তারা যেন পিড়িত মানুষের হাতে জামাকাপড়, খাবার, ওষুধ তুলে দিতে পারে।'সোমবার বাগডোগরা থেকে সোজা জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে হাজির হন শুভেন্দু অধিকারী। প্রায় আধ ঘণ্টা হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে ভর্তি থাকা ঝড়ে জখম গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। এদিকে হাসপাতালের আউরডোর গেট বন্ধ থাকায় শুভেন্দু বের হওয়ার সময়ে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের সদস্যরা বিক্ষোভ শুরু করেন। তাঁদের অভিযোগ, রাজনীতি করতে এসেছেন শুভেন্দু। আর তার ফলে সমস্যা হচ্ছে রোগীদের। এদিকে এই প্রসঙ্গে জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অসীম হালদার বলেন, 'ঝড়ে পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে। চিকিৎসা চলছে সকলের। তবে আউরডোর বন্ধ ছিল কি না জানা নেই।'

    রবিবার রাতেই উত্তরবঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী

    প্রসঙ্গত, রবিবার ১০ থেকে ১৫ মিনিটের ঝড়ে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয় জলপাইগুড়ির অনেকটা এলাক। ভেঙে পড়ে প্রচুর গাছ। উড়ে যায় বেশকিছু বাড়ির চাল। ঝড়ে মৃত্যুও হয়েছে কয়েকজনের। আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আরও কয়েকজন। খবর পেয়ে রাতেই জলপাইগুড়ি পৌঁছে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঝড়ে মৃতদের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন মমতা। একইসঙ্গে আহতদের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন মুখ্যমন্ত্রী। আঝ সোমবার আলিপুরদুয়ারে যান মমতা। সেখানও ঝড়ে বিধ্বস্থ গোটা এলাকা ঘুরে দেখেন মমতা। কথা বলেন স্থানীয়দের সঙ্গে। মমতা জানান, বিপর্যয় সবসময়ই জরুরি অবস্থা। তাই এক্ষেত্রে প্রশাসন যথাযোগ্য সারেভে করে প্রয়োজনাীয় ব্যবস্থা নেবে।

    উত্তরবঙ্গে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়এদিকে ইতিমধ্যেই উত্তরবঙ্গে পৌঁছন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ঝড়ে আহতদের দেখতে শিলিগুড়ির একটি নার্সিংহোমে পৌঁছন অভিষেক। সেখানে ভর্তি থাকা একটি শিশুরও স্বাস্থ্যের খোঁজ নেন তিনি। পরে সংবাদমাধ্যমের সামনে এই বিষয়ে আবাস প্লাসের প্রসঙ্গ টেনে রীতিমতো কেন্দ্রকে নিশানা করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সাফ কথা, কেন্দ্র আবাসের টাকা দিলে শিশুগুলিকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হত না।
  • Link to this news (এই সময়)