• খেলার ময়দান সমান রাখার দাবিতে কমিশনে তৃণমূল
    আজকাল | ০২ এপ্রিল ২০২৪
  • বীরেন ভট্টাচার্য, দিল্লি: নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চের সঙ্গে বৈঠকে সমানস্তরের লড়াইয়ের ময়দান প্রস্তুত করার আবেদন জানাল তৃণমূলের সংসদীয় প্রতিনিধি দল। ‌‌সোমবার বিকেল সাড়ে ৩টেয় দিল্লিতে কমিশনের দপ্তরে গিয়ে প্রায় ৩০ মিনিট বৈঠক করে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও ব্রায়েনের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলে ছিলেন রাজ্যসভার সাংসদ দোলা সেন, সাগরিকা ঘোষ, সাকেত গোখলে। তৃণমূলের মূল দাবি, ভোটের ফলাফল পর্যন্ত কেন্দ্রীয় এজেন্সির তৎপরতা বন্ধ রাখতে হবে, বিরোধী দলগুলির জন্য সমানস্তরের লড়াইযের ময়দান প্রস্তুত করতে হবে। কমিশনে তাঁরা জানিয়েছেন, নির্বাচন কমিশনকে শুধুমাত্র নিরপেক্ষ হলেই চলবে না, কমিশন যে নিরপেক্ষভাবে কাজ করছে, তা যেন সাধারণ জনগণের বোধগম্য হয়। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত শুক্রবার নির্বাচন কমিশনে স্মারকলিপি জমা দেয় তৃণমূল। তারপর আজ সেই বিষয়গুলি নিয়েই আলোচনা হয় কমিশনের ফুল বেঞ্চের সঙ্গে। তৃণমূলের তরফে উল্লেখিত দাবিগুলি নিয়ে রবিবার ইন্ডিয়ার সভায় তুলে ধরেছেন বিরোধী দলের নেতারা। সূত্রের খবর, স্মারকলিপির একটি অংশ বিশেষ করে কেন্দ্রীয় এজেন্সির বিষয়টি নিয়ে সহমত ইন্ডিয়া জোটের সব নেতারা। তাঁরা সেই স্মারকলিপিতে স্বাক্ষর করেছেন বলে সূত্রের খবর। আজ কমিশনের সঙ্গে সাক্ষাতের পর দোলা সেন বলেন, ‘‌নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে ২ মাস বাকি। সেই সময়ের মধ্যে যেভাবে ইডি, সিবিআই, আয়কর দপ্তর, এনআইএ বিরোধী দলের ওপর টার্গেট করছে, সেটা শুধুমাত্র আদর্শ আচরণবিধি ভঙ্গই নয়, তাতে দলগুলির সমানস্তরের লড়াইয়ের পরিপন্থী। আমরা চাই সমানস্তরে খেলা হোক।’‌ তিনি বলেন, ‘‌কমিশন নিরপেক্ষ রয়েছে, তবে নিরপেক্ষ থাকলেই হবে না, মানুষ যেন বুঝতে পারেন যে আপনারা নিরপেক্ষ রয়েছেন। আপানদের কাজে যেন নিরপেক্ষতা স্পষ্ট হয়।’‌ তৃণমূলের তরফে কমিশনে অভিযোগ জানানো হয়েছে, দেশের মানুষের করের টাকায় এবং সরকারি প্রচারযন্ত্রকে ব্যবহার করছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। কৃষ্ণনগরের বিজেপি প্রার্থীর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী মোদির টেলিফোনে আলোচনা এবং ইডির উদ্ধার করা অর্থ গরিব মানুষকে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি তুলে ধরেছে তৃণমূল। দোলা সেন বলেন, ‘‌ইডির উদ্ধার করা টাকা কীভাবে ব্যবহার করা হবে, তা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদি বক্তব্য রেখেছেন দলের কৃষ্ণনগরের প্রার্থীর সঙ্গে। এটা অবশ্যই নির্বাচনী বিধিভঙ্গ। তিনি কালো ধন ফেরত এনে দেশের মানুষের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কৃষ্ণনগরের বিজেপি প্রার্থীকে প্রধানমন্ত্রী মোদি যা বলেছেন, সেটাও জুমলা। কারণ, ইডির তদন্তগুলি বিচারাধীন। সেই মামলা কবে মিটবে, অজানা। মামলা হলেও হয়ত ২০ বছর লাগবে। ততদিন মোদিবাবু থাকবেন না। আবার মামলায় যে ইডি জিতবে এমন কোনও গ্যারান্টি নেই।’‌ এই প্রতিশ্রুতি দিয়ে সাধারণ মানুষকে প্রধানমন্ত্রী মোদি বিভ্রান্ত করছেন বলে অভিযোগ তৃণমূলের।
  • Link to this news (আজকাল)