•  ইডি, সিবিআই স্বাধীন, আমি ওই সব সংস্থাকে চালিত করি না:  মোদি 
    দৈনিক স্টেটসম্যান | ০২ এপ্রিল ২০২৪
  • দিল্লি, ১ এপ্রিল ? ইডি, সিবিআইয়ের মতো কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে কাজ করে। ইডি-সিবিআই-আয়কর বিভাগের কাজে তাঁর কোনও ভূমিকা নেই বলে দাবি করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। যদি, সিবিআই-এর মতো কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলিকে বিরোধী দলগুলির বিরুদ্ধে ব্যবহার করছেন প্রধানমন্ত্রী , এমন অভিযোগ বারবার করে এসেছে বিরোধী দলগুলি।  কিন্তু এই সব সংস্থার কাজের সঙ্গে তাঁর কোন যোগ নেই বলে মুখ খোলেন মোদি। প্রধানমন্ত্রীর কথায়, ‘ইডি, সিবিআই স্বাধীন। আমি ওই সব সংস্থাকে চালিত করি না। ওরা কী করবে আর কী করবে না, সবই এজেন্সির কর্তারা ঠিক করেন। আর এজেন্সির কাজের মূল্যায়ন করে আদালত।’
    রবিবার দিল্লির রামলীলা ময়দানের জনসভা থেকে বিরোধী জোট ইন্ডিয়ার শরিকেরা এক সুরে ইডি-সিবিআই-আয়কর বিভাগের কাজকর্মের বিরুদ্ধে সরব হন। বিরোধী দলগুলির অভিযোগ, সরকারের নির্দেশমতো এইসব সংস্থাগুলি চলছে। বিরোধীদের দমন করতে এজেন্সিরাজ কায়েম হয়েছে। রাজনৈতিক স্বার্থে ইডি , সিবিআইকে ব্যবহার করা হচ্ছে। শনিবার রাহুল গান্ধি দিল্লিতে কংগ্রেসের সদর দফতরে বসে সরাসরি ইডি-সিবিআই কর্তাদের হুঁশিয়ারিও দেন। তিনি বলেন, ‘এখন সরকারের কথায় চলছেন। কিন্তু মনে রাখবেন একদিন সরকার পরিবর্তন হবে। সেদিন কী করবেন ? অন্যায়ের সাজা পেতে হবে।’
    রবিবার দিল্লির রামলীলা ময়দানে যখন বিরোধীরা ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের ছবি তুলে ধরে সোচ্চার হন, তখন উত্তর প্রদেশের মিরাটের সভা থেকে পাল্টা জবাব দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেন, দুর্নীতিগ্রস্ত বিরোধীরা একজোট হয়েছে। অন্যদিকে, বিজেপির নেতৃত্বে এনডিএ লড়াই করছে এইসব অনাচারের বিরুদ্ধে । 
    রবিবার রাতে তামিলনাড়ুর একটি টিভি চ্যানেলে সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রীকে বিরোধীদের তোলা এজেন্সিরাজ নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। মোদির জবাব, ইডি-সিবিআই কী করছে সে ব্যাপারে তিনি মাথা ঘামান না। ওই সব সংস্থা স্বাধীনভাবে কাজ করে। সরকার তাতে কোনরকম হস্তক্ষেপ করে না। বিরোধীদের অভিযোগ নস্যাৎ করতে প্রধানমন্ত্রী একটি পরিসংখ্যান তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ইডির হাতে এখন সাত হাজার মামলা আছে। তার মাত্র তিন শতাংশ হল রাজনীতিকদের বিরুদ্ধে। তাঁর বক্তব্য, ইডি এককভাবে কোনও মামলা করে না। অন্য সংস্থার মামলায় বেআইনি আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ সামনে এলে ইডি তদন্ত করে থাকে। প্রধানমন্ত্রীর দাবি, আগের ইউপিএ জমানার দশ বছরে ইডি মাত্র ৩৫ লাখ টাকা বাজেয়াপ্ত করেছিল। আর  মোদির সরকারের সময়ে ২২০০ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি ।
  • Link to this news (দৈনিক স্টেটসম্যান)