স্ত্রী ও ২ শিশুসন্তানকে খুনের পর ৩ রাত ৩ মৃতদেহের সঙ্গেই 'সহ-বাস' স্বামীর!
২৪ ঘন্টা | ০২ এপ্রিল ২০২৪
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে স্ত্রী। এই সন্দেহ থেকে স্ত্রীকে গলায় ফাঁস দিয়ে খুনের অভিযোগ স্বামীর বিরুদ্ধে। এখানেই শেষ নয়। বাবার হাতে মায়ের খুন দেখে ফেলেছিল ছোট্ট ছোট্ট ২ সন্তান। বাবার হাতে তাদের পরিণতি হল মর্মান্তিক। স্ত্রীকে খুনের কোনও সাক্ষী না রাখতে ৩ ও ৬ বছরের ছেলে ও মেয়েকেও খুন করে স্বামী। শেষে ওই মৃতদেহগুলির সঙ্গে ৩ রাতও কাটায় অভিযুক্ত! অত্যন্ত চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের লখনউয়ের বিজনোর এলাকায় সারাভান নগরে। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতার নাম জ্যোতি। বয়স ৩০ বছর। স্ত্রী পরকীয়ায় জড়িত এই সন্দেহে স্বামী-স্ত্রী মধ্যে দাম্পত্য কলহ লেগেই থাকত। শেষে বিবাদ চলাকালীন সন্তানদের সামনেই গলায় ওড়নার ফাঁস দিয়ে স্ত্রী জ্যোতিকে খুন করে স্বামী রাম লগন। অভিযুক্তের বয়স ৩২ বছর। এমনকি খুনের যাতে কোনও সাক্ষী না থাকে, প্রমাণ লোপাট করতে ৬ বছরের মেয়ে পায়েল ও ৩ বছরের ছেলে আনন্দকেও খুন করে রাম লগন। তারপর ৩ রাত স্ত্রী ও সন্তানদের ৩ মৃতদেহের সঙ্গেই কাটায় অভিযুক্ত রাম লগন। শেষে মৃতদেহগুলি থেকে দুর্গন্ধ বেরতে শুরু করলে পর্দাফাঁস হয় রাম লগনের ঘৃণ্য অপরাধের।
পুলিস জানিয়েছে, ৭ বছর আগে জ্যোতির সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল রাম লগনের। রাম লগন সন্দেহ করত স্ত্রী জ্যোতি পরপুরুষের সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে। স্ত্রীকে ফোনে কথা বলতে দেখলেই তাঁর সন্দেহ হত। স্ত্রীর ফোনে আড়িও পাতে সে। এই নিয়ে দুজনের মধ্যে ঝগড়া বিবাদ লেগেই থাকত। শেষে ২৮ তারিখ কথা কাটাকাটির সময়ই প্রথমে স্ত্রী ও তারপর সন্তানদের খুন করে রাম লগন। ৩-৩টে খুনের পর তারপর রাতটা ওই একই ঘরে মৃতদেহের সঙ্গেই কাটায় সে। সকালে বেরিয়ে যায়। আবার রাতে ফেরে। এভাবে ৩ দিন কেটে যায়। শেষে বাড়িমালিক দুর্গন্ধ পেতেই পর্দাফাঁস হয় হাড়হিম করা এই ঘটনার। তিনি দরজা খোলা থাকায় ঘরের ভিতর ঢুকতে পারেন। ঘরে ঢুকে দেখেন, একটি বস্তার মধ্যে ৩-৩টি দেহ ভরা। ঘন বসতি এলাকা হওয়ায় রাম লগন দেহগুলি নিয়ে বাইরে বেরতে পারেনি। ওদিকে প্রতিবেশীদের বলে যে, হোলি খেলতে তার পরিবার এক আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়েছে। দেহ উদ্ধার হতেই, পুলিসে খবর দেওয়া হয়। পুলিস আসে। অভিযুক্ত রাম লগনকে গ্রেফতার করে। পুলিস সূত্রে খবর, জেরায় রাম লগন তার অপরাধ স্বীকার করেছে। ওদিকে দেহগুলিকে উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।