জি ২৪ ঘন্টা ডিজিটাল ব্যুরো: প্রাকৃতিক দুর্যোগেও এবার বেলাগাম দিলীপ ঘোষ! বললেন, 'উত্তর বাংলায় শুরু হচ্ছে ঝড়। বিজেপি ঝড় শুরু হয়ে গিয়েছে। তাতে লন্ডভন্ড হয়ে যাচ্ছে'। বিতর্ক তুঙ্গে।
ঘটনাটি ঠিক কী? চৈত্রের শেষে ভয়ঙ্কর কালবৈশাখী। লন্ডভন্ড হয়ে গিয়েছে জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, এমনকী, কোচবিহারও। জলপাইগুড়িতে এখনও পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন ৫ জন। আহত বহু। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে এখন উত্তরবঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী। গতকাল, রবিবার রাতে জলপাইগুড়ি দুর্গতদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। আজ, সোমবার সকালে গিয়েছিলেন আলিপুরদুয়ারে।এদিন দুর্গতদের দেখতে উত্তরবঙ্গে পৌঁছন অভিষেকও। দিলীপের বক্তব্যে কী প্রতিক্রিয়া? বাগডোগরা বিমানবন্দরে বিদায়ী সাংসদ বলেন, 'বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি, তিনি বলছেন, বিজেপির ঝড়ে বাড়ি উড়ে গিয়েছে, বিজেপির ঝড় চলছে! যাঁদের এতটুকু ন্যূনতম উপলদ্ধি নেই যে, এই নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনীতি না করে, দুর্যোগের সময়ে মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে দু'টো প্রাণ যদি আমি বাঁচাতে পারি, বা একটু সাহায্য করে, তাঁদের যাতে একটু ছাদের ব্যবস্থা করতে পারি, তাঁদের মানসিকতা নেই। তাঁদের প্রকৃত চেহারাটা মুখোশটা খুলে গিয়ে মানুষের কাছে উন্মোচিত হচ্ছে। একটা ঝড় নিয়ে যাঁরা, হাসি-ঠাট্টা করছে.. অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক'।'রাজনীতি কি রসবর্জিত হয়ে যাবে? রাজনীতিতে কোনও ভাষা থাকবে না'? পাল্টা প্রশ্ন তুলেছেন রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য। তাঁর দাবি, 'সরকারি টাকায় জনহিতকর প্রকল্পকে.. যাঁরা কার্যত মানুষকে পণ্য বানানোর পরিকল্পনা নিয়েছেন, তার প্রেক্ষিতেই দিলীপ ঘোষ এইকথা বলেছেন! বিজেপিকে কি ঝড় এনেছে নাকি! প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সঙ্গে বিজেপির কি সম্পর্ক আছে'!শমীক বলেন, 'একথা বা এটা নিয়ে রাজনীতি করা, এই শব্দবন্ধনীকে নিয়ে বিতর্ক তৈরির করার চেষ্টা, আমার মনে হয়, অত্যন্ত অস্বাস্থকর বিষয়। আমরা কোনও বিতর্ক চাই না। এটা তো ঠিকই, বিজেপি ঝড় তো চলছে গোটা উত্তরবঙ্গে। রাজনৈতিক ঝড়। তৃণমূলকে উপড়ে ফেলার ঝড়। দু-একটা ছোটোখাটো আছে, ওগুলিকে লন্ডভন্ড করে দেব'।