কাজে ফাঁকি-দুর্ব্যবহার! প্রধান শিক্ষিকার ঘরেই অশান্তির জেরে উত্তপ্ত দমদমের নামী স্কুল
প্রতিদিন | ০২ এপ্রিল ২০২৪
বিধান নস্কর, দমদম: স্কুলের মধ্যেই অশান্তি। শিক্ষিকাদের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়। অশান্তি। অভিযোগ, প্রধান শিক্ষিকা অন্যান্য শিক্ষিকাদের সঙ্গে অসহযোগিতা করছেন। অন্য এক শিক্ষিকাকে সহ প্রধান শিক্ষিকার পদে নিযুক্ত করা হলেও তাঁকে দায়িত্ব নিতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। পালটা প্রধান শিক্ষিকার দাবি, অন্য় শিক্ষিকারাই কাজে ফাঁকি দিতেন। প্রতিবাদ করায় এই অশান্তি।
সোমবার দুপুরে দমদম মতিঝিল গার্লস স্কুলের শিক্ষিকাদের মধ্যে ঝামেলা বাঁধে। স্কুলের প্রধান শিক্ষিকার ঘরের ভিতরেই শুরু হয় উত্তেজিত বাক্য বিনিময়। পরিস্থিতি অত্যন্ত উত্তেজিত হয়ে ওঠে। একাধিক শিক্ষিকার দাবি, ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা পায়েল দে তাঁদের সঙ্গে চূড়ান্ত অসহযোগিতা করেন। এমনকী খারাপ ব্যবহারও করেন। তাঁদের আরও দাবি, ইতিমধ্যেই স্বপ্না পাল নামে একজন শিক্ষিকাকে ওই স্কুলের সহ প্রধান শিক্ষিকা করা হয়ে থাকলেও, তাঁকে দায়িত্ব নেওয়া থেকে আটকাচ্ছেন প্রধান শিক্ষিকা।
যদিও প্রধান শিক্ষিকা পায়েল দে-র পালটা দাবি, স্বপ্না পালকে সহ প্রধান শিক্ষিকা হিসেবে নিযুক্ত করার প্যানেলটি শুধুমাত্র অনুমোদিত হয়েছে। পাশাপাশি তাঁর আরও দাবি, অসহযোগিতার অভিযোগ করা শিক্ষিকারাই বাস্তবে তাঁকে হেনস্তা করার চেষ্টা করছেন। তবে এর আগে এ বিষয় নিয়ে উভয়পক্ষই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন।
অভিযোগকারী শিক্ষিকাদের দাবি, প্রধান শিক্ষিকা-সহ কয়েকজন শিক্ষিকার জন্যই তাঁদের স্কুলের ছাত্রীসংখ্যা কমে যাচ্ছে। পাশাপাশি তাঁদের আরও দাবি, স্কুলের শৌচালয় অপরিষ্কার থাকায় ছাত্রীদের স্কুলের আসার সংখ্যা কমে যাচ্ছে। সমস্ত বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো সত্ত্বেও কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। সব অভিযোগ অস্বীকার করে প্রধান শিক্ষিকা পায়েল দে জানান, অভিযোগকারী শিক্ষিকারাই কাজে ফাঁকি দিত। তাঁদের বিরুদ্ধে সরব হওয়ার জন্যই এই আচরণ।