Rajasthan High Court: 'এক্সট্রা ম্যারিটালে যৌন সম্পর্ক শাস্তিযোগ্য নয়'
এই সময় | ০২ এপ্রিল ২০২৪
এই সময়: বিবাহিত সম্পর্কের বাইরে দু’জন প্রাপ্তবয়স্ক স্বেচ্ছায় যৌন সম্পর্কে জড়ালে তাকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলা চলে না। সম্প্রতি রাজস্থান হাইকোর্টের এই রায়ে নতুন করে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। এর আগে ২০১৮ সালে সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক অপরাধ নয়। রাজস্থান হাইকোর্টের বিচারপতি বীরেন্দ্র কুমার ওই নির্দেশ দিতে গিয়ে বলেন, ‘আমাদের সমাজে বিবাহিত দম্পতির মধ্যে যৌন সম্পর্ককেই স্বীকৃতি দেওয়া হয় এটা সত্যি। কিন্তু তার মানে এই নয় যে বিবাহ সম্পর্কের বাইরে কোনও যৌনতায় জড়িয়ে পড়া শাস্তিযোগ্য অপরাধ।’ তাঁর বক্তব্য, সামাজিক নৈতিকতার উপরে এ ক্ষেত্রে সাংবিধানিক নৈতিকতাকে স্থান দেওয়া উচিত।ঘটনার সূত্রপাত এক ব্যক্তির করা মামলার প্রেক্ষিতে। তাঁর স্ত্রীকে তিনজন অপহরণ করেছে বলে পুলিশে এফআইআর করেছিলেন ওই ব্যক্তি। নিজে আর একটি মামলায় জেলে থাকার ফলে তিনি নিজে আদালতে আসতে পারেননি। সেই মামলা কোর্টে ওঠার পর তাঁর ‘অপহৃতা’ স্ত্রী এজলাসে এসে জানান, তিনি স্বেচ্ছায় অভিযুক্তদের একজনের সঙ্গে লিভ ইন সম্পর্কে রয়েছেন। মহিলার ওই জবানবন্দির পর নিম্ন আদালত ওই ব্যক্তির এফআইআর খারিজ করে দেয়। নিম্ন আদালতের বক্তব্য ছিল, দু’জন ব্যক্তির মধ্যে স্বেচ্ছায় যৌন সম্পর্ক স্থাপনকে ‘অনৈতিক’ বলা যেতে পারলেও তার মধ্যে কোনও অপরাধ নেই।
সেই নির্দেশের বিরুদ্ধে রাজস্থান হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন ওই ব্যক্তি। তাঁর আইনজীবী অঙ্কিত খাণ্ডেলওয়াল আদালতে জানান, স্বামী বর্তমান থাকা সত্ত্বেও ওই মহিলা অন্য ব্যক্তির সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের কথা স্বীকার করায় তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৯৪ (স্বামী বা স্ত্রী থাকাকালীন অন্য সম্পর্কে জড়ানো) এবং ৪৯৭ (ব্যভিচার) ধারায় মামলা করা উচিত। কিন্তু আদালত সেই আবেদনে কান দেয়নি। ওই ব্যক্তির আইনজীবীর বক্তব্য ছিল, স্বামী বেঁচে থাকা সত্ত্বেও বিবাহিত মহিলার অন্য সম্পর্কে জড়িয়ে পড়া সমাজকে ভুল বার্তা দেবে। এক্ষেত্রে আদালতকেই সামাজিক নৈতিকতা রক্ষার জন্য এগিয়ে আসতে হবে।
সেই প্রসঙ্গেই বিচারপতি বীরেন্দ্র কুমার বলেন, ‘বিবাহিত হয়েও অন্য কারও সঙ্গে কেউ যৌন সম্পর্কে জড়িয়ে পড়লে তাকে আইনের চোখে অপরাধ বলা যায় না।’ আদালতের পর্যবেক্ষণ ছিল, ওই মহিলা প্রাপ্তবয়স্ক। তিনি স্বেচ্ছায় যদি কারও সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান তাকে সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরতে বাধ্য করা যায় না। এর পরেই ওই ব্যক্তির মামলা খারিজ করে দেয় উচ্চ আদালত।