এই সময়: ভোট মিটতেই খেলা ঘুরল পাকিস্তানে! তোশাখানা মামলায় (অনৈতিক ভাবে সরকারি উপহার বিক্রির অভিযোগ) দোষী সাব্যস্ত করে ভোটের ঠিক আগে জানুয়ারিতে প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবিকে ১৪ বছরের জন্য কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। কিন্তু ইমরানদের বিরুদ্ধে কোনও পোক্ত প্রমাণ মেলেনি— এই পর্যবেক্ষণের কথা জানিয়ে এপ্রিলের শুরুতেই ইমরানদের কারাদণ্ডে স্থগিতাদেশ দিল ইসলামাবাদ হাইকোর্ট।স্বাভাবিক ভাবেই স্বস্তি ফিরল পিটিআই শিবিরে। কাপ্তান অবশ্য এখনই ছাড়া পাচ্ছেন না জেল থেকে। অন্য আরও একাধিক মামলা রয়েছে যে! তোশাখানা সংক্রান্ত পরবর্তী শুনানি হবে ঈদের পরে। প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন বিদেশি রাষ্ট্রনেতাদের তরফে পাওয়া অনেক বহুমূল্য উপহার তিনি অনৈতিক ভাবে হয় নিজের কাছে রেখে দিয়েছিলেন কিংবা বেচে দিয়েছিলেন— এই অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করেই ইমরান ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে সাজা শোনায় কোর্ট।
৩১ জানুয়ারি সেই সাজাঘোষণার দিন কয়েক পরেই ভোটে নামে পাকিস্তান। তার আগে আবার সাইফার মামলায় দোষী সাব্যস্ত করে ১০ বছরের জন্য ইমরানের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছিল পাক আদালত। পিটিআই গোড়া থেকেই সরব হয়েছিল— ইমরানকে একাধিক মামলায় দোষী সাব্যস্ত করে শেহবাজ়-নওয়াজ় শরিফরা আদতে ভোটে ফায়দা তুলতে চাইছেন। তোশাখানা মামলায় দোষী সাব্যস্ত করে আদালত এমনকী এ-ও বলে যে, আগামী দশ বছর কোনও সরকারি পদে বসতে পারবেন না পিটিআই-প্রধান।
এমনকী, প্রতীক কেড়ে নিয়ে পিটিআই-কে ভোটেও নামতে দেয়নি পাকিস্তান মুসলিম লিগ (নওয়াজ়)। যদিও ভোটের ফল বেরোতে দেখা যায়, সব চেয়ে বেশি আসন পেয়েছেন পিটিআই-সমর্থিত নির্দল প্রার্থীরাও। ইমরানের কুর্সিতে িফরে আসার একটা জল্পনাও তৈরি হয়। কিন্তু পিএমএল(এন) এবং বিলাবল ভুট্টোর দল পিপিপি ছক কষেই ক্ষমতা দখল করে বলে অভিযোগ। সরকার গঠন হয়ে গিয়েছে। এ দিকে দেশের আর্থিক সঙ্কট কিন্তু কমেনি। অন্য দিকে, জঙ্গি হামলায় বেশ কয়েক জন চিনা নাগরিকের প্রাণ যাওয়ায়, ‘বেল্ট অ্যান্ড’ রোডের বেশ কিছু কাজও আপাতত বন্ধ রেখেছে চিন। এই আবহে তোশাখানা মামলায় ইমরান-বুশরার স্বস্তিলাভ কিছুটা হলেও পিটিআই শিবিরকে স্বস্তি দিল।