Kejriwal Tihar Jail : পাতে জেলের ডালিয়া-রুটি! ২৪ ঘণ্টা সিসিটিভি নজরদারি, তিহাড়ে কেমন কাটল কয়েদি কেজরির প্রথম রাত?
এই সময় | ০২ এপ্রিল ২০২৪
দিল্লি আবগারি দুর্নীতি মামলায় আগামী ১৪ দিনের জেল হেফাজতে পাঠানো হয়েছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে। বর্তমানে তিহাড় জেলের ২ নম্বর সেলই তাঁর ঠিকানা। আদালতের নির্দেশের পর সোমবার বিকেল ৪টে ২ মিনিটে তাঁকে জেলের সেলে নিয়ে যাওয়া হয়। ছ'টি সিসিটিভি ক্যামেরায় নজরদারি রাখা হচ্ছে তাঁর উপর। নিরাপত্তা আঁটসাঁট করা হয়েছে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর সেলের চারপাশে। প্রথম রাত তিহাড় জেলে কেমন কাটল কেজরিওয়ালের?জেলে পৌঁছেই মেডিক্যাল চেক আপসোমবার বিকেল ৪টে বেজে ২ মিনিটে তিহাড় জেলের ২ নম্বর সেলে প্রবেশ করেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। প্রথম তাঁকে জেলের কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। নাম, পরিচয়, ঠিকানা লেখাতে হয় আর পাঁচজন কয়েদির মতোই। এরপরই হয় তাঁর মেডিক্যাল চেক আপ। তারপর নিজস্ব সেলে পাঠিয়ে দেওয়া হয় কেজরিওয়ালকে। সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে তাঁর উপর ২৪ ঘণ্টা নজরদারি চালানো হচ্ছে। তিহাড় জেলের ডিজি খোদ এই ক্যামেরায় চোখ রাখছেন। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, তিহাড় জেলের বাইরে আম আদমি পার্টির সমর্থকদের বিক্ষোভ প্রদর্শনের জেরে ৩ নম্বর সেল থেকে ভিতরে ঢোকানো হয় অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে। রেজিস্ট্রারে তাঁর নামের এন্ট্রি করানো হয়। এরপর তাঁকে ২ নম্বর সেলে পাঠানো হয়। অন্যান্য কয়েদিদের যেভাবে জেলের নিয়ম পালন করতে হবে অরবিন্দ কেজরিওয়ালকেও তা করতে হবে। সূত্রের খবর, আদালতের নির্দেশ মোতাবেক সমস্ত সুবিধা দেওয়া হচ্ছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে। তাঁকে সেলের মতো দু'টি স্তরের সুরক্ষা প্রদান করা হচ্ছে। তাঁর সেলে একটি টেলিভিশনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। লাইব্রেরী থেকে বই আনিয়েও পড়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে কেজরিওয়ালকে। তিহাড় জেলের এই অংশে মোট ৬৫০ জন কয়েদি রয়েছেন। যার মধ্যে ৬০০ জন সাজাপ্রাপ্ত।
কার কার সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ?কিছুদিন আগে পর্যন্তও এই সেল নম্বর ২-তে ছিলেন রাজ্যসভার সাংসদ সঞ্জয় সিং। তবে বর্তমানে তাঁকে ৫ নম্বর সেলে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। কেজরিওয়ালের অপর দুই সঙ্গী সত্যেন্দ্র জৈন এবং মণীশ সিসোদিয়াও তিহাড় জেলে বন্দি। তবে আপাতত তাঁদের সঙ্গে দেখা করার কোনও সুযোগ মিলবে না কেজরিওয়ালের। অপর কোনও কয়েদির সঙ্গে কথা বলতে দেওয়া হবে না তাঁকে। তবে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে তিহাড় জেল কর্তৃপক্ষ ছয় জনের সঙ্গে দেখা করার অনুমতি দিয়েছে। জেল সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী, পরিবারের তিন সদস্য ছাড়া এই তালিকায় রয়েছেন সন্দীপ পাঠক, বন্ধু বৈভব এবং আরও এক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি। যার নাম প্রকাশ্যে আসেনি। মোট ১০ জনের সঙ্গে তিহাড় জেলের কয়েদিদের দেখা করতে দেওয়া হয়। তবে তিনি এখনও পর্যন্ত ছয়জনের নামই জমা করেছেন।
জেলে কেজরিওয়ালের মেনুসকাল সাড়ে ৬টার সময় অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে দেওয়া হবে ডালিয়া এবং এক কাপ চা। সাড়ে ১০টার সময় সবজি, ডাল, ভারত এবং পাঁচটি রুটি দেওয়া হবে। দুপুর সাড়ে ৩টের সময় চা এবং দু'টি বিস্কুট পাবেন কেজরিওয়াল। প্রত্যেকদিন অন্য কয়েদিদের মতো তিনিও পাঁচ মিনিট করে ফোনে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলতে পারবেন। সন্ধ্যা ৭টার সময় ডাল, সবজি, ভারত এবং রুটি দেওয়া হবে ডিনারে। তারপর থেকে গোটা রাত সেলের ভিতরই বন্দি জীবন কাটাতে হবে অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে।