CJI DY Chandrachud : 'ছোটখাটো মামলার তদন্তভারে ন্যুব্জ সিবিআইয়ের মতো এজেন্সি!' কী ইঙ্গিত প্রধান বিচারপতির?
এই সময় | ০২ এপ্রিল ২০২৪
নয়াদিল্লি: কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ, বিরোধী কণ্ঠরোধ করতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে ব্যবহার করছে তারা। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল, ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন সিএম হেমন্ত সরেন-সহ একাধিক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের গ্রেপ্তারি সেই অভিযোগকে জোরদার করেছে।এই পরিস্থিতিতে 'সিবিআই রাইজিং ডে'-তে তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করতে শোনা গেল প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়কে। তাঁকে বলতে শোনা গেল, 'আমার মনে হয়, তদন্তকারী সংস্থাগুলোকে আমরা বড্ড বেশি সব ব্যাপারে জড়িয়ে ফেলছি। জাতীয় নিরাপত্তা এবং দেশবিরোধী কোনও অর্থনৈতিক অপরাধের ক্ষেত্রেই শুধুমাত্র তাদের কাজ সীমাবদ্ধ থাকা উচিত।'
ইডি, সিবিআইয়ের মতো তদন্তকারী সংস্থা শাসকদলের স্বার্থসিদ্ধির জন্য রাজনৈতিক পদক্ষেপও করছে বলে অভিযোগ বিরোধী শিবিরের। সেই প্রেক্ষিতে সিজেআইয়ের এই মত তাঁদের অভিযোগকেই জোরদার করছে বলে দাবি।
প্রধান বিচারপতি অবশ্য তদন্তকারী সংস্থার কাজের পরিধি বেড়ে যাওয়ার বিষয়টিকে প্রশংসাসূচক ভাবেও ব্যাখ্যা করেছেন। তাঁর মতে, 'এখন বিভিন্ন আঙ্গিকের ক্রিমিনাল কেস সিবিআইয়ের হাতে দেওয়া হচ্ছে। তারা এখন আর শুধুমাত্র দুর্নীতি দমন তদন্তকারী সংস্থা নয়। এর ফলে সিবিআইয়ের উপর দায়িত্ব অনেক বেশি বেড়ে যাচ্ছে।' এই চাপ সামলাতে তদন্তকারী প্রক্রিয়াকে ডিজি়টাইজ়ড করার পথ বাতলেছেন সিজেআই।
তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে সাম্প্রতিক একটি সাক্ষাৎকারে ইডি-সিবিআইয়ের ভূমিকা নিয়ে মুখ খুলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। তাঁর বক্তব্য, 'ইডি এবং অন্যান্য তদন্তকারী সংস্থা স্বাধীনভাবে কাজ করে। আমরা তাদের কাজে বাধাও দিই না, কোনও কাজের নির্দেশও দিই না। বিচারব্যবস্থার মতো এই তদন্তকারী সংস্থাগুলোরও স্বাধীন ভাবেই কাজ করা উচিত।
বর্তমানে ইডি-র হাতে ৭,০০০ কেস রয়েছে, যার মধ্যে রাজনীতিক সংক্রান্ত মামলা ৩ শতাংশেরও কম। বিরোধীদের ১০ বছরের শাসনকালে ইডি বাজেয়াপ্ত করেছিল ৩৫ লক্ষ টাকা আর এখন সেটা ২,২০০ কোটি!'