• সিপিএম প্রার্থীর অঘোষিত মিছিলে কংগ্রেসের পতাকা
    এই সময় | ০২ এপ্রিল ২০২৪
  • বিশ্বদেব ভট্টাচার্য, আসানসোল: পশ্চিম বর্ধমান জেলার দুই কেন্দ্র আসানসোল ও দুর্গাপুর-বর্ধমানে প্রার্থী দেবে না কংগ্রেস। তারা সমর্থন করবে বাম প্রার্থীকে। রবিরার এ কথা জানিয়ে জেলা কংগ্রেস সভাপতি দেবেশ চক্রবর্তী বলেছিলেন, ‘এই সিদ্ধান্ত নিয়ে কারও ক্ষোভ থাকতে পারে। কিন্তু হাই কমান্ডের নির্দেশ আমাদের মানতেই হবে।’দেবেশের এই বক্তব্যের প্রতিফলন দেখা গেল সোমবার সন্ধ্যায় উত্তর আসানসোলের রেলপারে। সেখানে কংগ্রেস কাউন্সিলার গোলাম সরোবরের বাড়িতে গোলাম এবং আর এক কংগ্রেস কাউন্সিলার মহম্মদ মুস্তফার সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলেন আসানসোলের সিপিএম প্রার্থী জাহানারা খান, সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য পার্থ মুখোপাধ্যায় ও জেলা সিপিএমের অন্য নেতারা।

    আলোচনা সেরে তাঁরা রাস্তায় বেরিয়ে আসতেই তা প্রায় অঘোষিত মিছিলের আকার নেয়। পার্থ জানান, এদিন সন্ধ্যায় রেলপারের ওকে রোডে স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে কিছু মানুষ মিছিলে যোগ দেন। যৌথ ভাবে এই মিছিলে কংগ্রেস ও সিপিএমের দলীয় পতাকা ছিল।

    রবিবার আসানসোলের জিটি রোডের গির্জা মোড়ের জাতীয় কংগ্রেস কার্যালয়ে দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে কংগ্রেসের জেলা সভাপতি বলেন, ‘আমরা অন্তত একটি আসনে লড়াই করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা হলো না। জোটের স্বার্থে এটা আমাদের মেনে নিয়ে সকলকে ভোটের কাজে নামতে হবে।’

    সোমবার সন্ধ্যায় উত্তর আসানসোলের রেলপার এলাকায় বামপ্রার্থী জাহানারা খানের সঙ্গে অঘোষিত মিছিলে হেঁটে কংগ্রেস ও সিপিএম সমর্থকরা একযোগে তাঁকে ভোট দেওয়ার আবেদন জানান। এদিকে, এই মিছিলের কোনও অনুমতি আগে থেকে নেওয়া না-থাকার কথা স্বীকার করে নেন সিপিএম নেতৃত্ব।

    এপ্রসঙ্গে তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক ভি শিবদাসন বলেন, ‘অনুমতি ছাড়া এই সময়ে কোনও ধরনের ছোট-বড় মিছিল করা উচিত নয়। আদর্শ নির্বাচনবিধি চালু হয়ে গিয়েছে। ফলে নির্বাচন কমিশনের প্রতিনিধিরা নিশ্চয়ই বিষয়টি দেখছেন।’ বিজেপি-র জেলা সহ সভাপতি প্রশান্ত চক্রবর্তী বলেন, ‘বিষয়টি আমরাও কমিশনের আওতায় আনার উদ্যোগ নিচ্ছি।’
  • Link to this news (এই সময়)