• 'বাম আমলে চাকরি পেতে ৫ টাকাও খরচ হয়নি', সাফ কথা বিজেপি প্রার্থীর
    এই সময় | ০২ এপ্রিল ২০২৪
  • ঋতভাষ চট্টোপাধ্যায় | এই সময় ডিজিটাল

    নিয়োগ দুর্নীতি লাগাতার সরব বিরোধীরা। নিয়োগের দাবিতে এখনও আন্দোলনও চালিয়ে যাচ্ছেন বহু চাকরি প্রার্থী। এরই মাঝে বাম আমলে চাকরি পাওয়া নিয়ে বড় মন্তব্য প্রাক্তন আইপিএস তথা বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী দেবাশিস ধরের। বাম আমলে চাকরি পেতে কোনওরকম টাকা খরচ করতে হয়নি বলেই মন্তব্য করলেন দেবাশিস।এই সময় ডিজিটালকে এক একান্ত সাক্ষাৎকারে বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী দেবাশিস ধর বলেন, 'বাম আমলে যতটুকু সময় চাকরি করেছি, খুব কম সময়ই করেছি, আজকে যেমন বলা হয় শাসক ঘনিষ্ঠ, তখন আমিও বেশকিছু উল্লেখযোগ্য পদে ছিলাম। পোস্টিং করার জন্য কাউকে এককাপ চায়েরও অফার দিতে হয়নি। জীবনে আমি ৫টি চাকরি পেয়েছি। ৫টি চাকরি পাওয়ার জন্য আমার বাবা মাকে কোনওদিন ৫ টাকাও খরচ করতে হয়নি।

    জীবনে আমি ৫টি চাকরি পেয়েছি। ৫টি চাকরি পাওয়ার জন্য আমার বাবা মাকে কোনওদিন ৫ টাকাও খরচ করতে হয়নি।দেবাশিস ধর

    দেবাশিস আরও বলেন, 'প্রতিটি দলেরই মতাদর্শ থাকে। কিন্তু যেটা যাদের দুর্বলতা ও যেটা যাদের স্ট্রং পয়েন্ট, সেটা আমাদের মেনে নিতে হয়। বাম আমলে যতটুকু চাকরি করেছি, একটা জিনিস দেখেছি, আমার সঙ্গে হয়ত কারও মতভেদ হয়েছে, সেই মতভেদ আর একজন নেতাকে গিয়ে যদি বলতাম, অন্তত তিনি কথাটা শুনতেন।' তিনি আরও বলেন, 'বাম আমলে যাঁরা সরকারের ধারক বাহক ও মাথা থিলেন তাঁরা অত্যন্ত শিক্ষিত মানুষ ছিলেন। তাঁরা ভালো ভালো কলেজ - বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা করে এসেছিলেন। আইন থেকে শুরু করে বিভিন্ন বিদ্যায় দক্ষতা ছিল।'

    প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে বারেবারেই তোলপাড় পড়ে গিয়েছে রাজ্যে। তদন্তে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মতো ব্যক্তিত্বকে গ্রেফাতার করা হয়। আর শুধু তাই নয়, নিয়োগ দুর্নীতিতে আরও অনেককে গ্রেফতার করা হয়েছে। যার প্রেক্ষিতে বিরোধীরা কটাক্ষ করে বলেন, 'গোটা শিক্ষা দফতরটাই জেলে চলে গিয়েছে।' এক্ষেত্রে লোকসভা নির্বাচনে বিভিন্ন প্রচার সভায় সেই নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতি নিয়ে তৃণমূল তথা রাজ্য সরকাকে নিশানও করছেন বিরোধীরা। এরই মাঝে এহেন মন্তব্য এল দেবাশিস ধরের মুখ থেকে।

    অন্যদিকে নাম না করে তৃণমূল প্রার্থী শতাব্দী রায়কেও কটাক্ষ করেন দেবাশিস। তাঁর কটাক্ষ, 'একসঙ্গে দুই নৌকায় পা দিয়ে যেমন চলা যায় না, ঠিক তেমনই দু'টো জিনিস একসঙ্গে করা যায় না। অভিনয়টা কোনও খারাপ জিনিস নয়। কিন্তু তিনি অভিনয় আর রাজনীতি একসঙ্গে করে আসলে নিজের পেশার প্রতিও অবিবেচনা করছেন এবং মানুষকেও ঠকাচ্ছেন। মানুষের বোঝা উচিত কে নির্বাচিত হয়ে সব সময় তাদের সঙ্গে থাকবে! যে মাসে ২৫ দিন কলকাতায় থাকবেন, পাঁচদিন পার্লামেন্টে থাকবেন আর একদিন এখানকার মানুষের কাছে আসবেন, সেই রকম মানুষ নির্বাচিত না হওয়াই ভাল।'
  • Link to this news (এই সময়)