বীরেন ভট্টাচার্য, দিল্লি: নির্বাচনী বন্ড নিয়ে প্রথমবার মুখ খুললেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। একটি তামিল টেলিভিশন চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন নির্বাচনী বন্ডের তথ্য সামনে আসা বিজেপির কোনও ক্ষতি করতে পারবে না। পাশাপাশি নির্বাচনী বন্ড প্রক্রিয়ার মধ্যে যে ঘাটতি রয়েছে, তা কার্যত স্বীকার করে নিয়েছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, কোনও প্রক্রিয়াই পুরোপুরি নিখুঁত হতে পারে না এবং যে সমস্ত ঘাটতি রয়েছে সেগুলি সংশোধন করে নেওয়া হবে। লোকসভা ভোটের মুখে বন্ডের তথ্য বিরোধীদের হাতে ধারালো অস্ত্র তুলে দিয়েছে। সেই বিষয়টি তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, ‘আমরা কী করেছি, যার জন্য আমাদের ক্ষতি হতে পারে বলে মনে হবে। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে, যাঁরা বন্ডের তথ্য নিয়ে নাচানাচি করছেন, তাঁরা পরে অনুতপ্ত হবেন।’ তিনি বলেন, নির্বাচনী বন্ডের তথ্য সামনে এসেছে বলেই রাজনৈতিক দলগুলির প্রাপ্য অনুদানের মাধ্যম দেশের সামনে এসেছে। যদিও ২০১৭ সালে এই প্রকল্প চালুর সময়ে তৎকালীন অর্থমন্ত্রী প্রয়াত অরুণ জেটলি রাজনৈতিক দলগুলিকে আর্থিক অনুদানের তথ্য গোপন রাখার পক্ষে সওয়াল করেছিলেন। তাহলে কেন সরকার অবস্থান বদল করল, তা নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে। প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, ‘কোনও পদ্ধতিই পুরোপুরি নিখুঁত হতে পারে না। যেসমস্ত ত্রুটি রয়েছে, সেগুলি সংশোধন করা যায়।’ প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের সমালোচনা করে কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ এক্স অ্যাকাউন্টে লিখেছেন, ‘দৈনিক প্রধানমন্ত্রী দ্বিচারিতার নতুন উচ্চতায় পৌঁছান। তিনি দাবি করেছেন, বন্ডের কারণেই তথ্য সামনে এসেছে। যদিও এই বন্ড চালু করা হয়েছিল দাতার নাম গোপন রাখতে।’ তাঁর কথায়, ‘মোদি সরকারের দুর্নীতি সবার জানা হয়ে গিয়েছে। ধাক্কাটা হল মোদি সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতি প্রমাণ করার জন্য এখন হাতে সংখ্যা রয়েছে। দুর্ভাগ্যবশত আমরা প্রধানমন্ত্রীর থেকে দেশের মানুষের সামনে এসব আড়াল করতে সবসময়ের মিথ্যা কথা আশা করতে পারি।’