আসন হারাতে পারেন ঋষি সুনক। বড় প্রশ্নের মুখে পড়তে চলেছে তাঁর আসনটি। সম্প্রতি সিভিল সোসাইটি প্রচারাভিযান সংস্থার প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় উঠে এসেছে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য। চলতি বছরের শেষের দিকে হতে চলা সাধারণ নির্বাচনে রক্ষণশীল পার্টি বড় ধরণের পরাজয়ের মুখে পড়তে চলেছে। এর ফলে ইয়র্কশায়ারে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনকের আসনটিও অনিশ্চয়তায় দোদুল্যমান একথা বলাই বাহুল্য।সমীক্ষায় দেখা গেছে, যুক্তরাজ্যের লেবার পার্টি ৪৬৮ টি সিট জিততে পারে এবং বিরোধী নেতা স্যার কেয়ার স্টারমারের দল ২৮৬ সিটের সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে চলেছে। গত বছর দ্য সানডে টাইমসের প্রধান সিট বাই সিট সমীক্ষার বিশ্লেষণে দাবি করেন, যে টরির সম্ভাবনা রেকর্ড হারে কমেছে। যার অর্থ তারা তাদের সবচেয়ে খারাপ নির্বাচনী ফলাফলের দিকে এগোচ্ছে। ফলে ১০০ টিরও কম আসন জিততে পারে। সমীক্ষা শেষে দাবি করা হয়েছে, যে পরের দিন নির্বাচন হলে প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনকের কনজারভেটিভ পার্টি সারা দেশে ২৫০ জন এম পি হারাবে এবং লেবার পার্টি ৪৬৮ টি আসন নিয়ে জয়ী হবে। একটি সাধারণ নির্বাচনের ক্ষেত্রে এই ফলাফল অত্যন্ত খারাপ ফলাফল হিসেবে গণ্য করা হবে। কনজারভেটিভ পার্টির ক্ষতির পরিমাণের এখানেই শেষ নয়, রিচমন্ড এবং নর্থালারটনের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনকের আসনটি অতিরিক্ত কর্ণার হয়ে গেছে। যার থেকে মাত্র ২.৪ শতাংশ পিছিয়ে রয়েছে লেবার পার্টি। চ্যান্সেলর জেরেমি হান্টের গডালমিং এবং অ্যাশের নতুন আসনের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য যেখানে লিবারাল ডেমোক্র্যাটরা মাত্র এক শতাংশ পিছিয়ে রয়েছে।
সমীক্ষায় আরও বলা হয়েছে, যে আনুমানিক ২৮ জন বর্তমান মন্ত্রিসভার সদস্য এই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলে মনে করা হচ্ছে। তাদের মধ্যে শুধুমাত্র ১৩ জনের পুনরায় নির্বাচিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে যদি তাঁরা ফের নির্বাচনে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন।
যদিও এর মধ্যে সিদ্ধান্তহীন ভোটারদের হিসাব করা হয়নি। এই প্রশ্নের উত্তরে মাত্র ১৫ শতাংশের প্রতিনিধিত্ব করা হয়েছিল।
লর্ড ডেভিড ফ্রস্ট, প্রাক্তন ব্রেক্সিট সেক্রেটারি এবং সুনকের একজন সমালোচক জানিয়েছেন, যে সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী কনজারভেটিভ পার্টি একটি মরিয়া পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে চলেছে। যার জেরে ভোটের ফলাফল খারাপই হতে চলেছে, ভালো নয়।
ঋষি সুনকের সহযোগিরা আশঙ্কা করছেন, স্থানীয় নির্বাচনের পর তিনি নেতৃত্বের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে পারেন। যদি পূর্বাভাস অনুযায়ী স্থানীয় কাউন্সিল এবং মেয়র নির্বাচনে টোরিরা অপমানজনক হারের মুখোমুখি হয়। এটি সুনকের দলীয় পদে বিদ্রোহের আলোচনাকে পুনরায় উজ্জিবীত করবে।