• Ramdev Supreme Court News: 'ফল ভোগের জন্য তৈরি থাকুন', বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপন মামলায় ক্ষমা চেয়েও সুপ্রিম ভর্ৎসনার মুখে রামদেব
    এই সময় | ০২ এপ্রিল ২০২৪
  • পতঞ্জলির বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপন নিয়ে রামদেবকে হুঁশিয়ারি দিল সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের হুঁশিয়ারি কড়া পদক্ষেপের জন্য তৈরি থাকুন। যোগগুরুকে 'ফল ভোগ করার জন্য তৈরি থাকার' কথাও জানিয়েছে শীর্ষ আদালত। এর আগে এই মামলায় রামদেবকে আদালতে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। সেই নির্দেশ মেনেই মঙ্গলবার রামদেব ও তাঁর সহযোগী আচার্য বালকৃষ্ণ হাজিরা দেন সুপ্রিম কোর্টে। তবে নিজে সুপ্রিম কোর্টে এসে ক্ষমা চেয়েও পার পেলেন না বাবা রামদেব। পতঞ্জলির বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপন মামলায় শীর্ষ আদালত তাঁকে তুমুল ভর্ৎসনা করে। এমন কী আদালতে মিথ্যা কথা বলায় রামদেব ও পতঞ্জিল আয়ুর্বেদ লিমিটেড ও সংস্থার অধিকর্তা আচার্য বালাকৃষ্ণনের বিরুদ্ধে মামলা শুরু করার হুঁশিয়ারিও দেয় সুপ্রিম কোর্ট। যোগগুরুর আইনজীবী হাত জোড় করে আদালতকে বলেন, 'আমরা ক্ষমা চাইতে চাই এবং আদালত যা বলবে তা মানতে প্রস্তুত।' এর পরেই সুপ্রিম কোর্ট মন্তব্য করে, 'ফল ভোগ করার জন্য তৈরি থাকুন।'শেষ পর্যন্ত এক সপ্তাহের মধ্যে তাঁদের নতুন করে হলফনামা পেশের নির্দেশ দিয়েছে বিচারপতি হিমা কোহলি ও বিচারপতি আহসানউদ্দিন আমানুল্লার ডিভিশন বেঞ্চ। তবে সেটা যে তাঁদের শেষ সুযোগ তা শীর্ষ আদালত স্পষ্ট করে দিয়েছে। এছাড়াও শীর্ষ আদালত কেন্দ্রীয় সরকারের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে। মঙ্গলবার যখন শীর্ষ আদালত মন্তব্য করে, 'যখন পতঞ্জলি চারদিকে গিয়ে বলেছিল অ্যালোপথি ওষুধ কোভিড সারাতে পারবে না তখন কেন কেন্দ্রীয় সরকার চোখ বন্ধ করে রেখেছিল?'

    বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপন মামলার চাপে শীর্ষ আদালতে গিয়ে হাজিরা দিয়েছিলেন যোগগুরু রামদেব। আদালত অবমাননা সংক্রান্ত একটি অভিযোগের প্রেক্ষিতে রামদেবের সংস্থা পতঞ্জলিকে নোটিশ দিয়ে কৈফিয়ত তলব করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। তবে সেই তলব উত্তর আসেনি। এরপরই যোগগুরু রামদেব তাঁর সহযোগী বালকৃষ্ণকে সশরীরের হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়ার নির্দেশ দেয় বিচারপতিদের বেঞ্চ।

    রামদেবের পতঞ্জলির বিজ্ঞাপনে অ্যালোপ্যাথিক চিকিৎসা ও চিকিৎসকদের অপমান করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে চিকিৎসকদের সর্বভারতীয় সংগঠন ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন মামলা দায়ের করেছিল। আর্জিতে বলা হয়েছিল, করোনা অতিমারীর সময়ে কোভিড প্রতিরোধী না হওয়া সত্ত্বেও মানুষকে বোকা বানিয়ে করোনিল কিট বিক্রি করে রামদেবের সংস্থা। আর সেই করোনাল কিট বিক্রি করে লুঠেছিল আড়াইশো কোটির বেশি মুনাফা। গত বছরের নভেম্বর মাসে মামলার শুনানিতে পতঞ্জলির মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপন নিয়ে রামদেবের সংস্থার বিরুদ্ধে ভর্ৎসনা করেছিলেন শীর্ষ আদালতের বিচারপতিরা। অবিলম্বে সংবাদমাধ্যমে ওই মিথ্যা বিজ্ঞাপন সম্প্রচার বন্ধ না করলে জরিমানা হতে পারে বলে মৌখিক ভাবে হুঁশিয়ারিও দিয়েছিলেন বিচারপতিরা।

    চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে মামলার শেষ শুনানিতে পতঞ্জলির বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপন বন্ধে মোদী সরকারের ভূমিকা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা ক্ষোভ উগরে দেন। বিরক্তির সুরে তাঁরা বলেন, 'দেশবাসীকে বিভ্রান্ত করা সত্ত্বেও চোখ বন্ধ করে রয়েছে সরকার।' সেই সঙ্গে বৈদ্যুতিন মাধ্যম ও সংবাদপত্রে পতঞ্জলির ওষুধের বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপন শীঘ্রই বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট।
  • Link to this news (এই সময়)