• ধর্মস্থানে চুরি করে প্রচুর সম্পত্তির মালিক, ধৃত দম্পতি
    এই সময় | ০২ এপ্রিল ২০২৪
  • এই সময়, কাটোয়া: ধর্মস্থানে ঘুরে ঘুরে চুরি করাই ছিল পেশা। দীর্ঘ প্রায় ১২ বছর ধরে এই কাজ করে তৈরি করেছিল প্রচুর সম্পত্তি। অবশেষে কাটোয়া থানার পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হল হুগলির এক চোর দম্পতি। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম রঞ্জিত হালদার ও অন্নপূর্ণা হালদার। হুগলির পোলবা থানা এলাকার করোলার বাসিন্দা তারা। কাটোয়ায় তিনটি জায়গায় চুরির অভিযোগ আছে এদের বিরুদ্ধে।সোমবার ধৃতদের কাটোয়া মহকুমা আদালতে পেশ করা হলে আদালত ধৃতদের ৮ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। কাটোয়ার এসডিপিও কাশীনাথ মিস্ত্রি বলেন, ‘একটি সন্দেহজনক গাড়ির তদন্ত করতে গিয়েই এরা ধরা পড়েছে। ধৃতরা নিজেদের স্বামী-স্ত্রী বলেই পরিচয় দিচ্ছে। আমরা এদের কাছ থেকে সোনা ও প্রচুর নগদ টাকা উদ্ধার করেছি। এদের সঙ্গে আরও অনেকে যুক্ত বলেই অনুমান করা হচ্ছে। তদন্ত চলছে।’

    একইসঙ্গে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে চুরির কাজে ওই দম্পতির ব্যবহার করা একটি স্করপিও গাড়ি। ভোটের কাজে গাড়িটি নেওয়ার জন্য ইতিমধ্যে নোটিসও করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, হোলির পরের দিন কাটোয়ার গৌরাঙ্গ মন্দিরের একটি অনুষ্ঠান থেকে কয়েকটি সোনার চেন চুরির অভিযোগ আসে।

    এর দু’দিন পড়ে কাটোয়া জগদানন্দপুর মন্দির চত্বর থেকেও একইরকম অভিযোগ পায় থানা। দিনকয়েক আগে কাটোয়ার বিষ্ণুপুরে একটি বসন্ত উৎসবের অনুষ্ঠান থেকেও একই ভাবে সোনার গয়না চুরি গিয়েছে বলে জানতে পারে পুলিশ। তদন্তে নেমে সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখার সময়ে একটি সন্দেহজনক স্করপিও গাড়ি নজরে আসে। তিনটি জায়গাতেই ঘটনার সময়ে ওই গাড়িটি দেখা যায়।

    গাড়ি থেকে কয়েকজনকে নামা-ওঠা করতেও দেখা যায়। এর পর গাড়ির নম্বর থেকে মালিকের বাড়ির ঠিকানা খুঁজে পোলবায় হানা দেয় কাটোয়া থানার পুলিশ। পোলবা পুলিশের সহযোগিতায় বাড়ি থেকে দম্পতিকে গ্রেপ্তার করার পাশাপাশি প্রায় ২০০ গ্রাম সোনা, ৮৯ হাজার নগদ টাকাও উদ্ধার হয়েছে। গাড়িটি বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ।

    গাড়িটি ভোটের কাজে নেওয়ার জন্য নোটিসও করা হয়েছে। ওই গাড়ি নিয়েই দুষ্কর্ম চালাচ্ছিল দম্পতি। পুলিশ জানিয়েছে, দলে কে কে আছে, চোরাই মাল কোথায় বিক্রি করা হতো তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
  • Link to this news (এই সময়)