• শাহজাহানকে বাঁধতে এবার ইডির হাতিয়ার রাজ্য পুলিসের ১৩ এফআইআর!
    ২৪ ঘন্টা | ০২ এপ্রিল ২০২৪
  • জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: শাহজাহানকে বাঁধতে ইডির হাতিয়ার রাজ্য পুলিসের করা ১৩ এফআইআর। এই ১৩টি এফআইআর-এর মধ্যে ২০২৪ সালের ৯টি। যে ৯টি এফআইআর সন্দেশখালিরতে সাম্প্রতিক গণরোষের পরে নথিভূুক্ত হয়েছে। বাকি চারটি মামলা ২০১৯ এবং ২০২২-এ ন্যাজাট থানায় নথিভুক্ত হয়েছে। ২০২৪-এ নথিভুক্ত মামলার মধ্যে রয়েছে জমি দখল থেকে শুরু করে গণধর্ষণের মামলাও। ইডির হাতিয়ার রেখা পাত্রর করা গণধর্ষণের মামলাও। ১৩ টি এফআইআরের মধ্যে একটি রেখার অভিযোগের ভিত্তিতে।কেবল শেখ শাহাজান নয়,  ২০২৪ এর সন্দেশখালি থানায় নথিভুক্ত ওই ৯ মামলায় অভিযুক্ত উত্তম সরদার থেকে শুরু করে শিবপথ হাজরার মত স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের একটা বড় অংশ। ২০১৯ এবং ২০২২-এর এফআইআরগুলিতে আদিবাসীদের জমি দখল, তোলাবাজি থেকে শুরু করে খুনের মামলা এবং অস্ত্র আইনে এফআইআরও রয়েছে। লোকের জমি দখল করে, তারপর সেই জমি বিক্রি করে বিপুল সম্পত্তি করেছিল শেখ শাহজাহান। ইডি সূত্রে খবর, এবার শাহজানের পর তাদের রেডারে শিবু হাজরা থেকে শুরু করে উত্তম সর্দার এবং শাহজাহানের ভাইরাও।

    এর পাশাপাশি জমি-ভেড়ি দখলের পর নতুন অভিযোগ সন্দেশখালির শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে। চিংড়ির ভুয়ো ব্যবসার আড়ালে ৩১ কোটি টাকার লেনদেন। আদালতে বিস্ফোরক দাবি ইডির। ১৩ দিনের জন্য ইডি হেফাজতে পাঠানো হয়েছে শাহজাহানকে। শেখ শাহজাহানকে বেআইনি আর্থিক লেনদেন মামলায় গ্রেফতার করেছিল ইডি। সোমবার বসিরহাট উপ-সংশোধাগার থেকে শাহজাহানকে নিয়ে যাওয়া হয় ব্যাঙ্কশাল কোর্টে। শাহজাহানকে নিজেদের হেপাজতে নিতে আদালতে আবেদন করে ইডি। বিস্ফোরক দাবি করে তদন্তকারী সংস্থা। আদালতে ইডি বলে, আদিবাসীদের জমি-ভেড়ি দখল করে সিন্ডিকেট তৈরি শাহজাহানের। কয়েক জন ঘনিষ্ঠকে ভেড়িমালিক হিসাবে দেখানো হয়, কিন্তু তাঁদের কোনও ভেড়ি নেই। যাঁদের ভেড়ি নেই তাঁদের থেকেই ব্যাঙ্কের মাধ্যমে চিংড়ির ভুয়ো কেনাবেচা দেখানো হয়। এস কে সাবিনা নামে নিজের সংস্থার মাধ্যমে যাবতীয় নিলাম করত শাহজাহান। কালো টাকা সাদা করতে এটা শাহজাহানের নয়া কৌশল বলে দাবি ইডির।
  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)