• Salwan Momika: কোরান পুড়িয়ে বিশ্বের নজরে, সেই সলওয়ান মোমিকার রহস্যমৃত্যু
    এই সময় | ০২ এপ্রিল ২০২৪
  • মাস কয়েক আগেই ইসলাম ধর্মের পবিত্র ধর্ণগ্রহ্ন কোরান পুড়িয়ে বিশ্ববাসীর নজর কেড়েছিলেন সলওয়ান মোমিকা। ঘটনাটি ভাইরাল হওয়ার পরই দেশ ছাড়েন মোমিকা। চলে গিয়েছিলেন নরওয়েতে। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে।২০২৩ সালে ঈদের দিন সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে কোরান পুড়িয়ে প্রতিবাদ জানান ৩৭ বছরের ইরাকি শরণার্থী সলওয়ান মোমিকা। শহরের সবথেকে বড় মসজিদের সামনে দাঁড়িয়ে কোরান কুচি কুচি করে ছিঁড়ে পা দিয়ে তা মাড়িয়ে নিদের প্রতিবাদ দেখান তিনি। এরপর তা পুড়িয়ে দেন। যদিও পরে জানা গেছে যে তাঁকে এই কাজের অনুমতি দিয়েছিল খোদ সুইডেন প্রশাসন। বাকস্বাধীনতার নীতি মেনেই মোমিকার প্রতিবাদী কর্মসূচীকে সবুজ সংকেত দেওয়া হয়েছিল। মঙ্গলবার রেডিও জেনোয়া নিজেদের এক্স হ্যান্ডেলে মোমিনের দেহ উদ্ধারের খবরটি জানায়।

    মোমিকার কোরান পোড়ানোর ঘটনার পরই সুইডেনের সঙ্গে সংঘাত চরমে ওঠে ইরাকের। পবিত্র ধর্মগ্রহ্নের এমন অবমাননায় ক্ষোভে ফেটে পড়ে গোটা মুসলিম সমাজ। প্রতিবাদে ইরাকের রাজধানী বাগদাদে থাকা সুইডেনের দূতাবাসেও আগুন ধরিয়ে দেন বিক্ষোভকারীরা। এরপরই সুইডেনের রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার করে ইরাক। সমর্থন জানিয়েছিল ইরান, তুরস্ক, কাতার, সৌদি আরবের মতো মুসলিম প্রধান দেশগুলি। এমনকি সুইডেনের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার সম্ভাবনাও দেখা গিয়েছিল।

    এমন পরিস্থিতিতে নিজেদের দেশে ইরাক থেকে বিতাড়িত মোমিকাকে আর আশ্রয় দিতে চায়নি সুইডেন। ফলে বাধ্য হয়ে নরওয়েতে চলে যান সলওয়ান মোমিকা। গত ২৭ মার্চ সোশ্যাল মিডিয়ায় মোমিন জানিয়েছিলেন যে নরওয়েতে নিরাপদেই রয়েছেন তিনি। তার কয়েকদিনের মধ্যেই তাঁর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ে। নরওয়ের স্থানীয় একটি চ্যানেল নিজেদের এক্স হ্যান্ডেলে এই খবর জানায়। তবে পরে অবশ্য টুইটটি মুছে ফেলা হয়। তবে সরকারিভাবে এখনও খবরটিতে শিলমোহর দেয়নি প্রশাসন।

    শিক্ষা, অনুশীলন বা সম্প্রদায়ের নিয়মের প্রতি মোহভঙ্গের কারণে মোমিন ধর্মত্যাগ করেন। গত বছর সেপ্টেম্বরে সুইডেনের তৃতীয় বৃহত্তম শহর মালমোতে বিক্ষুব্ধ জনতা মোমিকাকে কোরানের কপি পোড়াতে বাধা দেয়। পরে শুরু হয় সংঘর্ষ।

    সলওয়ান মোমিকা ফিলিস্তিনি পতাকা পোড়ানোর ছবি পোস্ট করে ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধের মাঝখানে ফিলিস্তিনি সমর্থকদের উস্কে দিয়েছিলেন। গত সেপ্টেম্বরে মোমিনকে প্রত্যর্পণের দাবি জানায় ইরাক। তিনি এই দাবিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বলেন, ইরাক তাঁর জবাবাদিহি এবং বিচার করার জন্য প্রত্যর্পণ চাইছে।

    উত্তর ইরাকের তল আফারে এক খ্রিস্টান পরিবারে জন্মান সলওয়ান মোমিকা। যদিও তাঁর ছেলেবেলা সম্পর্কে তেমন কিছু জানা যায় না। তবে মিলিশিয়া নেতা হিসেবেই তিনি বেশি পরিচিত।
  • Link to this news (এই সময়)