রিজার্ভ ব্যাঙ্কের অনুষ্ঠানে আচরণবিধি ভেঙেছেন প্রধানমন্ত্রী? মোদীর বিরুদ্ধে সরব মমতা
এই সময় | ০২ এপ্রিল ২০২৪
লোকসভা নির্বাচন ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই আদর্শ আচরণবিধি চালু করা হয়েছে গোটা দেশে। এর মাঝেও রিসার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার অফিসারদের সঙ্গে দেখা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বিষয়টি নিয়ে সরব হলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ‘আইন তো সবার জন্য এক হওয়া উচিত’ দাবি মুখ্যমন্ত্রীর।টর্নেডোর কারণে বিপর্যয়ের জেরে বর্তমানে জলপাইগুড়িতে রয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার রাত থেকেই উদ্ধারকার্য এবং ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্যের বিষয়টি খতিয়ে দেখছে তিনি। এর মাঝেই আজ, মঙ্গলবার জলপাইগুড়ি মার্সি ফেলোশিপ চার্চ-এ যান মুখ্যমন্ত্রী। সেখানেই স্বল্প বক্তৃতার মাঝে বিষয়টি নিয়ে সরব হন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিন মমতা বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী রিজার্ভ ব্যাংকের অফিসারদের সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন। যখন আদর্শ আচরণবিধি চালু আছে, আমরা তো এসব পারি না। আইন আলাদা হবে কেন?’ উল্লেখ্য, গত ১ এপ্রিল ৯০ বছরে পা দিয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া। সেই উপলক্ষ্যে মুম্বাইতে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে মোদীকে বলতে শোনা যায়, ‘ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থা ও অর্থনীতির উন্নয়নে এ পর্যন্ত যা কিছু কাজ করা হয়েছে তা শুধু একটি ট্রেলার, পুরো চলচ্চিত্রটি এখনো তৈরি হয়নি।
রিজার্ভ ব্যাঙ্কের এই অনুষ্ঠানে মোদীর যোগদানের বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আবাস যোজনার ঘর না পাওয়া প্রসঙ্গে বলছিলেন তিনি। সেই প্রেক্ষিতেই তিনি বলেন, ‘আমরা আইন অমান্য করব না। তবে আমাদের বাজেটে বলা ছিল, আবাস যোজনায় ঘর আমরা মে মাস পর্যন্ত দেখব। কেন্দ্রীয় সরকার সাহায্য না করলে আমরা নিজেরাই আবাসের ঘর করে দেব, যাতে কারও অসুবিধা না হয়।’
প্রসঙ্গত, উত্তরবঙ্গের ঘূর্ণি ঝড়ের কারণে একাধিক মানুষের ঘর-বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে এর আগে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছিলেন, এই সব মানুষদের আবাস যোজনার মাধ্যমে পাকা বাড়ি করে দেওয়া হলে এই দুর্দশা হতো না। তাহলে শিশুদের হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজন হত না।
এদিনের অনুষ্ঠান থেকে আরও একটি বিষয় নিয়ে সরব হন মমতা। তিনি জানান, পাহাড়ি অঞ্চলে কিছু মানুষ ব্যক্তিগত উদ্যোগে চা চাষ করত। তাঁদের সারের মধ্যে পেস্টিসাইড আছে বলে সেটা কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কোনও বিকল্প ব্যবস্থা না করে এভাবে তাঁদের জীবিকা কেন বন্ধ করে দেওয়া হল, সেই বিষয় নিয়েও সরব হন তিনি। আগামী দিনে যাতে তাঁদের পাশে দাঁড়ানো যায়, সে ব্যাপারেও সরকার ভাবনাচিন্তা করবে জানান মুখ্যমন্ত্রী।