বহরমপুরে তিনি হারলে রাজনীতি ছেড়ে দেবেন। অন্যদিকে, পাশের কেন্দ্র মুর্শিদাবাদে তাঁদের সমর্থিত বাম প্রার্থী মহম্মদ সেলিম জিতবেন – স্পষ্ট বার্তা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরীর। বামেদের সঙ্গে আসন সমঝোতার নিরিখে এই দুটি আসনেই রাজ্যের শাসক দল পর্যদুস্ত হবে বলেই জানান অধীর।বহরমপুর কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হারলে, সেটা তৃণমূল কংগ্রেসের দুই শীর্ষ নেতৃত্ব মমতা এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের পরাজয় বলে মেনে নিক, এমনটাই দাবি তুলেছিলেন অধীর। মঙ্গলবার এক সাংবাদিক বৈঠক করে তাঁর জোরালো দাবি, ‘এই কেন্দ্রে যদি আমাকে হারাতে পারে, তাহলে আমি রাজনীতি করা ছেড়ে যাব।’
তৃণমূল প্রার্থীকে কটাক্ষ করে তাঁর দাবি, ‘এখানে উলু খাগড়ার সঙ্গে লড়াই করে কোনও মজা নেই। আমি তো বলেছিলাম, এখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে এসে দাঁড়াক। তবে তো লড়াইটা জমতো।’ তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করে অধীর আরও বলেন, ‘বহরমপুরের জয় আপনার হয়, বহরমপুরের পরাজয় আপনার পরাজয়, সেটা মানবেন আপনাকে কথা দিতে হবে।’
অন্যদিকে, পাশের কেন্দ্র মুর্শিদাবাদে এবার কংগ্রেস সমর্থিত সিপিএম প্রার্থী হয়েছেন মহম্মদ সেলিম। তাঁর জেতার ব্যাপারে একশো শতাংশ আশাবাদী অধীর চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘মহম্মদ সেলিম জিতে বসে আছেন।’ তবে এর আগে একাধিক জায়গায় বামেদের ভোট জোট প্রার্থী কংগ্রেসের দিকে গেলেও, কংগ্রেসের ভোট বামেদের দিকে যায় না এরকম দেখা গিয়েছে। বিষয়টি মেনে নিয়ে অধীর দাবি করেন ‘সময় বদলেছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মানুষের ধারণা বদলেছে।’
Lok Sabha Election : অধীরের সিক্সার রুখতে ইউসুফের সুইং
রাজ্যের আসনগুলি নিয়ে এ যাবৎ কালে একাধিকবার আলোচনা হয়েছে। একাধিক আসন নিয়ে মত পার্থক্য হলেও মুর্শিদাবাদ আসনটি কোনও আপত্তি না দেখিয়ে সিপিএমের জন্য ছেড়ে দিয়েছে কংগ্রেস। ঠিক, তেমন ভাবেই বহরমপুর আসনটি নিয়েও কোনও উৎসাহ দেখায়নি বামেরা। ফলত, পাশাপাশি এই দুটি আসনে যে কংগ্রেস - সিপিএম ঐক্যমত এবং তার প্রভাব ভোট বাক্স পড়বে, এমনটাই ইঙ্গিত দেন কংগ্রেস সাংসদ।
অন্যদিকে, আগামীকাল বহরমপুরে নির্বাচনী প্রচারে আসছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দু প্রসঙ্গে অধীর চৌধুরী বলেন, উনি একজন গিরগিটি। আজ তৃণমূল কাল অন্য কোথাও। আমি বলে রাখলাম আগামী দিনে আবার তৃণমূলে যাবে।’ এই কেন্দ্রগুলিতে বিজেপির কোনও জায়গা নেই বলে দাবি করেন তিনি।