সূর্যকান্ত কুমার, কালনা: এইমসে চাকরি দেওয়ার ক্ষমতা আছে বলে জানালেন বর্ধমান পূর্ব লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অসীম সরকার। সোমবার কালনায় প্রচারের মাঝে কোনও রাখঢাক না-রেখেই বর্তমানে হরিণঘাটার বিধায়ক অসীম বলেন, ‘আমি এইমসে চাকরি-বাকরি দিয়েছি। তবে ওই চাকরিতে কোনও পরীক্ষা দেওয়া লাগে না। পরীক্ষা, ভাইভা দিয়ে যে চাকরি পেতে হয় সে চাকরি নয়। এটা চুক্তিভিত্তিক চাকরি। সুপারিশে হয়। সেখানে সুপারিশ করলে দু-চারটে পায়। ঘর মোছার চাকরি।’কল্যাণীর এইমসে চাকরি কেলেঙ্কারিতে বাঁকুড়ার বিজেপি বিধায়ক নীলাদ্রিশেখর দানাকে একাধিকবার জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিআইডি। তবে অসীম সরকার এদিন দাবি করেন, তিনি যেসব চাকরি পাইয়ে দিয়েছেন তাতে কোনও দুর্নীতি হয়নি। তাঁর বক্তব্য, ‘এই চাকরির সঙ্গে দুর্নীতির কোনও যোগ নেই। একটা পানও খাইনি। একদম স্বচ্ছ ভাবে হয়েছে। না হলে অন ক্যামেরা বলব কেন?’
এদিন তিনি মোদী কেয়ারের ঘি খাওয়ারও পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, ‘আমার কোলেস্টেরল খুব বেড়ে গিয়েছিল। চিকিৎসক বলেন ঘি বাদ দিতে হবে। কিন্তু আমি ঘি-ভাত খেতে খুব ভালোবাসি। ঘি খেলে কণ্ঠস্বরও ভালো থাকে। শেষে মোদী কেয়ারের ঘি খুঁজে পেলাম। এই ঘি যদি ২০০ গ্রামও খান কোলেস্টেরল বাড়বে না। ছন্দ করে বলেন, মোদী কেয়ারের ঘি, এর তুল্য আর আছে কী! বিরোধীদেরও খেতে বলব।’
‘মোদী কেয়ার’ নামে যে একটি কোম্পানি রয়েছে সেটাও বলে দেন বিজেপির এই কবিয়াল প্রার্থী। বলেন, ‘কাকতালীয় ভাবে আমার নেতা মোদীজির পদবি ওই কোম্পানির মালিকেরও। তবে যদি বন্দ্যোপাধ্যায় কেয়ার, অভিষেক কেয়ার, মমতা কেয়ারের ঘি এরকম ভালো হতো তা হলে সেটাই খেতাম।’
গত বিধানসভা নির্বাচনে পূর্বস্থলী উত্তর কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী গোবর্ধন দাসের তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলার প্রসঙ্গে অসীম বলেন, ‘ওঁকে আমি শ্রদ্ধা জানাই। উনি ঠিকই বলেছেন। তবে শ্রীশ্রী ঠাকুর রামকৃষ্ণ ক লিখতে পারতেন না। চণ্ডীর চ লিখতে পারতেন না। তবুও বিএ পাশ নরেন দত্ত তাঁর শ্রীপাদপদ্মে আত্মনিবেদন করেছিলেন।’
কটাক্ষ করে বলেন, ‘টিকিট পাওয়ার নেশা হেরোইনের নেশার থেকেও খারাপ। এটা ওঁর ব্যথার কথা বেরিয়ে পড়েছে। তবে আমি ওঁর বাড়ি যাবো। বুকে জড়িয়ে ধরে বলব, চলুন একসঙ্গে লড়ে মোদীজির হাত শক্ত করি।’