• 'বন্ধ হোক ভাষা সন্ত্রাস', কমিশনের অফিসের সামনে 'সরস্বতী ভাণ্ডার' হাতে প্রতিবাদ
    এই সময় | ০৩ এপ্রিল ২০২৪
  • বঙ্গ রাজনীতিতে 'কুকথা'র দাপাদাপি নতুন কিছু নয়। শাসক বা বিরোধী, মাঝে মধ্যেই প্রতিপক্ষের উদ্দেশে করা বিভিন্ন নেতানেত্রীদের বক্তব্য তোলপাড় ফেলে দেয় রাজ্য রাজনীতিতে। কখনও কখনও সেই 'কুকথা'র রেশ বঙ্গ রাজনীতির গণ্ডী ছাড়িয়ে পৌঁছে যায় জাতীয় রাজনীতির অলিন্দে। এবার তাই সেই 'কুকথা' তথা 'ভাষা সন্ত্রাস' থেকেই রাজনৈতিক নেতানেত্রীদের বিরত থাকার বার্তা শিল্প সাহিত্যিক ও অভিনেতা অভিনেত্রীর। হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে কলকাতায় নির্বাচন কমিশনের দফতরের সামনে প্রতিবাদও জানান তাঁরা। সেই সমস্ত প্ল্যাকার্ডের কোনওটিতে লেখা ছিল, 'লক্ষ্মী ভাণ্ডারের পর সরস্বতী ভাণ্ডার, নির্বাচনী প্রচারে অশালীন ভাষা প্রয়োগ বন্ধ করুন।' কোনওটিতে আবার লেখা ছিল অন্যকিছু।এই বিষয়ে কবি তথা শিল্পী ঝর্না ভট্টাচার্য বলেন, 'আমরা যাঁরা শিল্প সাহিত্য নিয়ে চর্চা করি, তাঁরা তো চিৎকার করে প্রতিবাদ করতে পারি না, তাঁদের প্রতিবাদের ভাষাটা অন্যরকম হয়। শব্দ থেকে আমরা ব্রহ্ম মানি। ব্রহ্মার থেকে যেমন সৃষ্টি হয়, তেমনই ব্রহ্মর থেকে দাবানলও সৃষ্টি হয়। এখন ব্রহ্মর থেকে দাবানল তৈরি হচ্ছে। বাচ্চারা কার্টুন দেখতে গিয়ে যদি খবরের চ্যানেলে দু'টো বাজে কথা শোনে, তাহলে তাঁর মনে একটা ভয় ঢুকে যাচ্ছে, যে কাদের কাছে আমাদের সমাজটা রয়েছে। আমরা আমাদের নতুন প্রজন্মকে কী দিয়ে যাচ্ছি?'

    ঝর্না আরও বলেন, 'আমরা যদি ভাষা সন্ত্রাস বন্ধ করতে না পারি, তাহলে আমাদের এই যুগটা কিন্তু সন্ত্রাসের যুগ বলেই পরিচিত হবে। এখন সোশ্যাল মিডিয়ার যুগ, এখন আমরা অনেক কিছু অনেক তাড়াতাড়ি জেনে যাই। আমাগের আগামী প্রজন্ম যদি সুষ্ঠুভাবে বেড়ে ওঠে, আমরা তাহলে একটা সুন্দর পৃথিবী রেখে যেতে পারব।' পাশাপাশি 'ভাষা সন্ত্রাস' বন্ধ করতে কী কী করা উচিত, সেই পরামর্শও এদিন দেন ধর্না। এক্ষেত্রে মেডিটেশন করা, নিজের আত্মার সঙ্গে কথা বলা, আত্মাকে জাগ্রত করার বার্তাও দেন দেন তিনি।

    প্রসঙ্গত, সম্প্রতিও বঙ্গ রাজনীতিতে কুরুচিকর মন্তব্যের প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। কিছুদিন আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষের করা মন্তব্যের জেরে ব্যাপক বিতর্ক ছাড়ায়। যার জেরে একদিকে যেমন দলের শোকজের মুখে পড়েন দিলীপ ঘোষ। অন্যদিকে আবার কমিশনের তরফ থেকেও শোকজ করা হয় তাঁকে। আবার বিজেপি প্রার্থী হিরণ চট্টোপাধ্যায়ের মন্তব্যকে ঘিরে সম্প্রতি তৈরি হয় বিতর্ক। যেখানে হিরণকে বিডিও দফতরে বসে রীতিমতো উস্কানিমূলক মন্তব্য করতে শোনা যায়। সেই বিষয়েও শোকজের মুখোমুখি হতে হয় হিরণকে।
  • Link to this news (এই সময়)