• Lok Sabha Election : বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত কংগ্রেসের ২০ প্রার্থী, বিজেপির সংখ্যা শূন্য! জানুন লোকসভার পরিসংখ্যান
    এই সময় | ০৩ এপ্রিল ২০২৪
  • ফেব্রুয়ারি মাসে ৫০টি আসনে লোকসভা ভোট। কংগ্রেসের প্রাক্তন সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী, BJP সভাপতি জে পি নাড্ডা এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব সহ মোট ৪১ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন রাজ্যসভায়। তবে সংসদের উচ্চকক্ষে এই বিষয়টি স্বাভাবিক হিসেবেই ধরা হয়। তবে লোকসভার ক্ষেত্রে এমনটা হয় না। সরকার বেছে নেওয়ার এই নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার ঘটনা প্রায় বেনজির।লোকসভা নির্বাচনে শাসক-বিরোধী উভয় শিবিরের প্রার্থীদের মধ্যে কুর্সি দখলের হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়। কিন্তু, সংসদের এই নিম্নকক্ষেও বেশ কিছু রাজনৈতিক লড়াইয়ের ক্ষেত্রে বেশ কিছু বেনজির নিয়ম রয়েছে।

    এখনও পর্যন্ত লোকসভায় ২৮ জন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।পাঁচজন সাংসদ প্রথম এবং দ্বিতীয় লোকসভা ভোটের সময় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছিলেন।১৯৬৭ সালের চতুর্থ সাধারণ নির্বাচনেও পাঁচজন সাংসদ কোনও প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছাড়াই সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন।এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি সাংসদ জম্মু ও কাশ্মীর থেকে নির্বাচিত হয়েছেন (৪)।সাতজন উত্তর প্রদেশ, তামিলনাড়ু, অসম সহ আরও সাত রাজ্যে দু'জন করে সাংসদ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সংসদে নির্বাচিত হয়েছিলেন।সিকিম এবং শ্রীনগরের দু'টি করে আসনে দু'বারের বেশি প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছিলেন।

    কোন দলের কেমন পরিসংখ্যান?স্বাধীনতার পর থেকে এখনও পর্যন্ত কংগ্রেসের মোট ২০ জন সাংসদ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

    ন্যাশনাল কনফারেন্স এবং সমাজবাদী পার্টির দু'জন করে সাংসদ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সংসদে নির্বাচিত হয়েছিলেন।

    এখনও পর্যন্ত একজন নির্দল প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় লোকসভায় নির্বাচিত হয়েছেন।

    তাৎপর্যপূর্ণভাবে BJP-র কোনও সাংসদ আজ পর্যন্ত বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হননি।

    কোন কোন নেতারা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সংসদে পৌঁছেছেন?জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লা, নাগাল্যান্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এস সি জমির, মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওয়াই ভি চহ্বান, ওডিশার প্রথম মুখ্যমন্ত্রী হরেকৃষ্ণ মহতাব, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পি এম সইদ এবং সমাজবাদী পার্টির নেতা ডিম্পল যাদব বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সংসদে নির্বাচিত হয়েছেন।

    বিধানসভা ভোটের পরিসংখ্যানএখনও পর্যন্ত ২৯৮ জন নেতা গোটা দেশে বিধানসভায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছিলেন।

    এই ক্ষেত্রে সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে নাগাল্যান্ড বিধানসভা

    জম্মু-কাশ্মীর থেকে এখনও পর্যন্ত ৭৭ জন বিধায়ক বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

    অরুণাচল প্রদেশের বিধানসভায় এই সংখ্যাটা ৪০।

    অন্ধ্র প্রদেশের ৩৪ এবং অসমের ১৮ জন বিধায়ক বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত।

    উত্তর প্রদেশ এবং রাজস্থান থেকে নির্বাচিত হয়েছে ছ'জন করে।

    ১৯৬২ সালে ছ'টি রাজ্য থেকে মোট ৪৭ জন বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছিলেন। যা এক বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি।

    ১৯৯৮ সালে ৪৫ জন বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছিলেন। ১৯৬৭ এবং ১৯৭২ সালে এই সংখ্যাটা ছিল ৩৩ করে।

    অরুণাচল প্রদেশ থেকে মুখ্যমন্ত্রী পেমা খান্দু সহ মোট ১০ জন BJP বিধায়ক ২০২৪ সালে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন।

    বিধানসভার ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলগুলির সংখ্যাকংগ্রেসের ১৯৫ জন বিধায়ক।

    ন্যাশনাল কনফারেন্সের ৩৪ এবং BJP-র ১৫ জন।

    নির্দল বিধায়কের সংখ্যা ২৯।
  • Link to this news (এই সময়)