Mission Gaganyaan : নতুন প্ল্যাটফর্ম থেকে সরাসরি লঞ্চপ্যাডে পৌঁছনোর প্রস্তুতি, বড় সাফল্য ইসরোর
এই সময় | ০৩ এপ্রিল ২০২৪
বর্তমানে ভারীয় মহাকাশ সংস্থা ইসরো কাজ করছে গগনযান মিশনে। চন্দ্রযান এবং আদিত্য এল-১ এর সাফল্যের পর এই মিশন ইসরোকে আরও উচ্চতায় নিয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। গগনযান হবে ভারতের প্রথম মানব মিশন।গগনযান মিশনের জন্য সিই-২০ ক্রায়োজেনিক ইঞ্জিন প্রস্তুত করেছে। ইতিমধ্যেই এই ইঞ্জিনের সফল পরীক্ষাও হয়েছে। ইঞ্জিনের পরীক্ষা তার সম্ভাব্যতা প্রকাশ করে। ইসরোর মতে, প্রথম মানবিক ফ্লাইট ‘LVM3 G1’-এর জন্য চিহ্নিত সিই-০ ইঞ্জিন সমস্ত প্রয়োজনীয় পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে। এবার পরবর্তী পর্যায়ের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে ইসরো। এর আগে লঞ্চ প্যাডের চার কিলোমিটারের মধ্যে কেউ ছিল না। এমনকি লঞ্চ প্যাডের নিরাপত্তা প্রদানকারী সিআইএসএফ কর্মীরা টেক অফের দু’ঘণ্টা আগে তাঁদের পোস্ট ছেড়ে যেতেন। কিন্তু ২০২৫ সলে প্রথমবরের মতো ভারতীয় নভোচারীরা স্পেসসুট পরা একটি বিশেষ প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে সরাসরি লঞ্চ প্যাডে পৌঁছবেন। একই সঙ্গে ১৯ বছরের পুরনো লঞ্চ প্যাডকেও আপগ্রেড করছে ইসরো।
আলাদা লঞ্চ প্যাড তৈরি করতে সময় লাগে। তাই দ্বিতীয় লঞ্চ প্যাডের উন্নয়নের কাজ চলছে বলে জানয়েছে ইসরো। প্রত্যেকবার কিছু পরীক্ষা নিরীক্ষার মাধ্যমে কিছু পরিবর্তনও করা হয় বলে জানানো হয়েছে। ইসরোর তরফে জানানো হয়েছে, প্রায় ২০০০ কোটি টাকার বিনিয়োগ এটি। নভো্চরদের যে রকেটেকরেপাঠানো হবে তার নিরাপত্তার উপরেও জোর দেওয়া হচ্ছে। মিশনটি শে, করতে আট ঘণ্টা থেকে একদিন পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। এই সময় মহাকাশচারীরা পুরো সময়ই ক্রু মডিউলে থাকবেন। তাপমাত্রা রাখা হবে ২৫ থেকে ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। মিশনের সময় জ্বালানি লিক করতে পারে তাতে রকেট ফেটে যেতে পারে ফলে মিশনের সময় আরও অনেক কিছু পরিস্থিতির কথা মাথায় রাখতে হবে বলে জানিয়েছেন ইসরোর আধিকারিকরা। ২০২৫ সালের মধ্যে গগনযান মিশন চালু হবে বলে জানানো হয়েছে। তবে তার আগে ২০২৪ সালের শেষের দিকে মহাকাশে দুটি মানুষবিহীন মিশন পাঠানো হবে। এই অভিযান সফল হলে তবেই পাঠানো হবে মহকাশচারীদের।
গগনযান মিশন কীগগনযান মিশন হলো ইসরোর তৈরি মানব স্পেশফ্লাইট প্রোগ্রামের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তিনটি মহাকাশ অভিযান অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে এই মিশনে। গগনযান মিশন প্রথম মানববাহী মহাকাশ অভিযান। এই মিশনে রয়েছে তিনদিনের মিশনের জন্য তিনজন ক্রু সদস্যকে ৪০০ কিলোমিটার কক্ষপথে চালু করা এবং তাঁদের নিরাপদে পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনা জড়িত। মোট পাঁচটি ধাপে সম্পন্ন করা হবে এই গগনযান মিশন।