‘ত্রাণের সমস্যা নেই, পরিস্থিতি ঠিক হতে সময় লাগবে', জলপাইগুড়িতে আশ্বাস মমতার
এই সময় | ০৩ এপ্রিল ২০২৪
উত্তরবঙ্গের বিপর্যস্ত এলাকায় ত্রাণ নিয়ে কোনও সমস্যা নেই। তবে পুরো পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে কিছুটা সময় লাগবে। প্রশাসন পুরো বিষয়টি দেখছে বলে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে নির্বাচনী বিধি থাকার জন্য কোনও ক্ষতিপূরণের অঙ্ক ঘোষণা করা যায়নি বলে জানান তিনি।জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার মিলিয়ে প্রায় পাঁচ হাজার বাড়ি কম-বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়াও প্রচুর চাষের জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী এদিন জানান, ত্রাণ শিবিরে যাঁরা রয়েছেন, তাঁরা সাহায্য পাচ্ছেন, এছাড়াও যাঁরা ত্রাণ শিবিরে নেই, তাঁরাও নিয়ম মাফিক সাহায্য পাবেন। পুরো বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসন দেখছে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
ঝড়ে বিপর্যস্ত এলাকাগুলিতে পরিস্থিতি সামাল দিতে কোনওরকম খামতি রাখা হচ্ছে না বলে দাবি করেন তিনি। ত্রাণ বণ্টন নিয়ে অভিযোগ তোলা হয়েছিল বিজেপির তরফে। বিষয়টি নিয়ে সরব হন মমতা। তিনি বলেন, ‘ত্রাণ নিয়ে এসব কোনওদিন করা হয় না। এটা মানবিক কাজ…বিজেপি কোনদিন মানুষের পাশে দাড়াঁয় না। খেয়েদেয়ে, বিশ্রাম করে এসে নাটক করে।’
জলপাইগুড়ির ঘটনার পর প্রতিক্রিয়া দিয়েছিলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পাশাপাশি, বিজেপি কার্য কর্তাদের অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর ব্যাপারে জানান তিনি। বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘এটা কী করে বলেন তিনি? তার মানে বিজেপির নেতারা এসে টাকা দিয়ে সাহায্য করবেন? আমি তো বলিনি, তৃণমূল নেতাদের এসে টাকা দিয়ে সাহায্য করতে।’
গত রবিবারের ঝড়ে লন্ডভন্ড হয় জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়ি, ধূপগুড়ি সহ বিস্তীর্ণ এলাকা। ক্ষতি হয় আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার জেলার বিস্তীর্ণ অংশেও। রবিবার রাতেই জলপাইগুড়ির উদ্দেশে রওনা হন মুখ্যমন্ত্রী। রাতেই হাসপাতালে যান আহতদের চিকিৎসা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে। রবিবার থেকেই উত্তরবঙ্গে রয়েছেন তিনি। আগামী ৬ মার্চ পর্যন্ত তাঁর উত্তরবঙ্গে থাকার কথা রয়েছে তাঁর।
এর মাঝেই আজকে চালসার গৌরীগ্রাম এলাকার মার্সি ফেলোশিপ চার্চের একটি অনুষ্ঠানে একটি অনুষ্ঠানে যোগদান করেছিলেন তিনি। এদিনের অনুষ্ঠান থেকে স্থানীয় চাষিদের সমস্যা নিয়েও সরব হন তিনি। মমতা বলেন, ‘এখানে বহু চা বাগান আছে, যেখানে ওঁরা ছোট ছোট ফার্মিং করেন। কেন্দ্রীয় সরকার তা বন্ধ করে দিয়েছে।’ চাষের জন্য পেষ্টিসাইড ব্যবহার করা হয় বলে সেগুলি থেকে চা কেনা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। বিকল্প ব্যবস্থা না করে কেন এত মানুষের জীবিকা বন্ধ করে দেওয়া হল, সেই বিষয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি।