আজকাল ওয়েবডেস্ক: অবশেষে অভিযুক্ত দীপক শর্মাকে সাসপেন্ড করল সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন। গোয়ায় দুই মহিলা ফুটবলারকে শারীরিক নির্যাতনের দায়ে মঙ্গলবার এআইএফএফের কার্যকরী কমিটির সদস্যকে নির্বাসিত করা হল। এই ঘটনার তদন্তের জন্য তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছিল। শনিবার ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরই অভিযুক্তকে ফুটবল সংক্রান্ত কোনও কাজ করতে নিষেধ করে দেওয়া হয়। তাঁর বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগও জানায় গোয়া ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন। তার ভিত্তিতে দীপক শর্মাকে গ্রেফতারও করা হয়েছিল। কিন্তু জামিনে মুক্তি পান। এদিন ফেডারেশনের একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, "ফেডারেশনের কার্যকরী কমিটি দীপক শর্মাকে অনন্তকালের জন্য নির্বাসিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।" তার আগে সভাপতি কল্যাণ চৌবে, সহ সভাপতি এনএ হ্যারিস এবং কোষাধ্যক্ষ অজয় কিপার তিন সদস্যের ইমারজেন্সি কমিটি বিষয়টি খতিয়ে দেখে। সোমবার রাতে ফেডারেশনের মেম্বার অ্যাসোসিয়েশনের বৈঠক ডাকা হয়। সেখানে অভিযুক্ত দীপক শর্মাকেও ডাকা হয়েছিল। তাঁকে নিজের বক্তব্যে পেশ করার সুযোগ দেওয়া হয়। তারপর মিটিং ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। তাঁর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ জমা পড়েছিল, তাতে ফুটবলাররা স্পষ্ট জানায়, সবসময় তিনি মদ্যপ অবস্থায় থাকতেন। যার ফলে প্রচন্ড ভয় পেতেন মহিলা ফুটবলাররা। কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর ফেডারেশনকে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে দ্রুত কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। তার কথার প্রেক্ষিতেই নড়েচড়ে বসে ফেডারেশন কর্তারা। বিষয়টি শৃঙ্খলারক্ষা কমিটিতে পাঠানো হয়। এই বিষয়ে কড়া পদক্ষেপ সুনিশ্চিত করেছেন ফেডারেশন সভাপতি কল্যাণ চৌবে। প্রসঙ্গত, গোয়ায় মহিলাদের লিগ চলাকালীন হোটেলের ঘরে হিমাচল প্রদেশের ক্লাব খাদ এফসির দু"জন মহিলা ফুটবলারকে নির্যাতনের অভিযোগ করা হয় দীপক শর্মার বিরুদ্ধে। সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনে অভিযোগ দায়ের করে ফুটবলাররা। সেখানে জানানো হয়ে, হোটেলের বন্ধ রুমে দীপক শর্মা তাঁদের ওপর শারীরিক নির্যাতন করেন। সংশ্লিষ্ট দুই মহিলা ফুটবলার নিজেদের ঘরে খাবার বানাচ্ছিল, সেই কারণেই নাকি ক্ষিপ্ত হয়ে যান ফেডারেশনের কর্তা। অভিযুক্ত ব্যক্তি হিমাচল প্রদেশ ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সচিব এবং ফেডারেশনের কম্পিটিশন কমিটির ডেপুটি চেয়ারম্যান। ফুটবলাররা জানায়, মদ্যপ অবস্থায় দীপক শর্মা এই ঘটনা ঘটান।