• দ্বিগুণ হল লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা, অকাল দোল উৎসবে মাতল বৈদ্যবাটি...
    আজকাল | ০৩ এপ্রিল ২০২৪
  • মিল্টন সেন: আবির খেলায় মাতলেন বৈদ্যবাটির মহিলারা। কারণ, প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী এপ্রিলের শুরুতেই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে লক্ষ্মীর আগমন ঘটেছে তাঁদের। এদিন রীতিমত আবির খেলে পালন করা হল অকাল দোল উৎসব। সম্প্রতি লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের ভাতা দ্বিগুণ করার ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। প্রতি মাসের ১ তারিখেই লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা মহিলাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ঢুকে যায়। তবে ১ এপ্রিল ব্যাঙ্ক বন্ধ থাকায় টাকা ঢুকেছে মাসের দ্বিতীয় দিনে। এই দিনটিকে স্মরনীয় করে রাখতে সবুজ আবির মেখে উল্লাসে মাতল বৈদ্যবাটি পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ড। বাড়ি বাড়ি গিয়ে মহিলাদের সবুজ আবির মাখানো হয়। একইসঙ্গে মিষ্টি বিতরণও করা হয়। সাধারণ মহিলাদের ক্ষেত্রে টাকার অঙ্ক দ্বিগুণ করে ১ হাজার টাকা করা হয়েছে। পাশাপাশি তপশিলি জাতি, উপজাতিদের ক্ষেত্রে সেই অঙ্ক ১০০০ থেকে ১২০০ টাকা করা হয়েছে। ভাতার অর্থ বাড়ায় স্বাভাবিক কারণেই খুশি মহিলারা। শ্রাবণী ওঁরাও নামে এক গৃহবধূ জানান, আগে তিনি ৫০০ টাকা পেতেন, এখন সেটা দ্বিগুণ হয়েছে। এই টাকা সন্তানের পড়াশোনার জন্য খরচ করেন তিনি। সেটা আরও ভাল করে করা সম্ভব হবে। বৈদ্যবাটি পুরসভার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের পুরসদস্যা ও সভানেত্রী পৌষালী ভট্টাচার্যের বক্তব্য, ‘বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি কল্পতরু। তিনি সবসময় বাংলার মা-বোনেদের পাশে রয়েছেন। লক্ষীর ভাণ্ডারের টাকা ৫০০ থেকে বেড়ে ১০০০ হয়েছে। এসটি, এসসি মহিলাদের ১০০০ টাকা থেকে ১২০০ টাকা করা হয়েছে। সেই আনন্দে সারা রাজ্য জুড়েই এই বিজয়োৎসব পালন করা হচ্ছে। আমি সবুজ আবির নিয়ে উপভোক্তাদের বাড়ি গিয়েছি। তাঁদের মিষ্টিমুখ করিয়েছি। আমার ওয়ার্ডে ৩০ শতাংশ মহিলা কর্মরত এবং ৭০ শতাংশ মহিলা গৃহবধূ। সে কারণে তাঁদের কাছে লক্ষীর ভাণ্ডারের ১০০০ টাকা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ’।
  • Link to this news (আজকাল)