জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: তুর্কিয়ের রাজধানী ইস্তানবুলে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। জানা গিয়েছে, ইস্তানবুলের এক নাইট ক্লাবে আগুন লেগে গিয়েছে। দুর্ঘটনায় কমপক্ষে ২৯ জন জ্বলন্ত পুড়ে মারা গিয়েছে। ঘটনাটি ঘটে মঙ্গলবার। মঙ্গলবার নাইটক্লাবে মেরামতির সময় আগুন লেগে যায়। পুলিস কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ঘটনাটির জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ক্লাবের ম্যানেজারসহ বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। ইস্তানবুলের গভর্নরের কার্যালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, অন্তত একজনকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
জানা গিয়েছে, নাইটক্লাবটি সংস্কারের জন্য বন্ধ ছিল। এটি বেসিকটাস জেলার কটি ১৬-তলা আবাসিক ভবনের মাটিতে এবং বেসমেন্টে অবস্থিত। ইস্তাম্বুলের গভর্নর দাভুত গুল ঘটনাস্থলে সাংবাদিকদের বলেন, আগুন লাগার কারণ অনুসন্ধান করা হচ্ছে এবং নিহতরা সংস্কার কাজের সঙ্গে জড়িত বলে ধারণা করা হচ্ছে। কি কারণে আগুন লেগেছে তা তদন্তে একটি কমিটি গঠন করেছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। ইস্তাম্বুল গভর্নরের কার্যালয় বলছে, 'আগুনের পরই সেখানে দমকল বাহিনীর ৩১টি গাড়ি নিয়ে ৮৬ সদস্য ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। ঘণ্টাখানেকের প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে দমকল বাহিনীর সদস্যরা।'বিচার মন্ত্রী ইলমাজ টুঙ্ক বলেছেন, 'কর্তৃপক্ষ ক্লাবের ম্যানেজার এবং সংস্কারের দায়িত্বে থাকা একজন ব্যক্তি সহ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচজনকে আটক করেছে।' মেয়র একরেম ইমামোগ্লু বলেছেন, 'কর্তৃপক্ষ পুরো বিল্ডিংটির নিরাপত্তা মূল্যায়ন করতে পরিদর্শন করছে।'
তিনি আরও জানিয়েছেন, বেশ কয়েকটি দমকল ও মেডিকেল টিম ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে।গত মাসের শুরুর দিকে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার বেইলি রোডে বহুতল ভবনে ভয়ানক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। সাততলা ওই শপিং মলে কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্ট, খানাস, ফুকো, অ্যাম্ব্রোশিয়াসহ একাধিক রেস্টুরেন্ট রয়েছে ও দোতলায় কাপড়ের দোকান 'ক্লজেট ক্লাউড' ও 'ইলিয়েন' রয়েছে। ওইদিন রাত পৌনে ১০টার দিকে ওই বিল্ডিংয়ে আগুন লাগে। আগুন নেভানোর পর হতাহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নেওয়া হয়।