• রাজ্য সরকারের বড় অফিসার! কল্যাণী এইমসে চাকরি দেওয়ার নামে ৭২ লাখের প্রতারণা...
    ২৪ ঘন্টা | ০৩ এপ্রিল ২০২৪
  • নির্মল পাত্র: কল্যাণী এইমসে চাকরি দেওয়ার নাম করে ৭২ লক্ষ টাকার প্ৰতরণা। প্রতারণার পর্দা ফাঁস করল হরিপাল থানার পুলিস। প্রতারণার অভিযোগে ইতিমধ্যেই চার জনকে গ্রেফতার করেছে হরিপাল থানার পুলিস। এই প্রতারণার সঙ্গে যুক্ত আরও বেশ কয়েকজন প্রতারকের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিস।পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, কিছুদিন আগেই চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা নেওয়ার অভিযোগ জমা পড়ে হরিপাল থানায়। এরপরেই তদন্ত শুরু করে পুলিস। তদন্তে উঠে আসে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। প্রতারণার সঙ্গে যুক্ত প্রথমে বাপ্পা রাউৎ নামে এক ব্যক্তিকে নদিয়ার কল্যাণী থেকে গ্রেফতার করে পুলিস। বাপ্পা রাউৎকে জেরা করে এই চক্রের সঙ্গে জড়িত দীপক দাস নামে আরও এক ব্যক্তিকে দুর্গাপুর থেকে গ্রেফতার করে পুলিস। এদের জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও দুই প্রতারকের খোঁজ পায় পুলিস। এম ডি বাসার ও সুপ্রিয় বিশ্বাস নামে দুজনকে তমলুক ও রানাঘাট থেকে গ্রেফতার করে পুলিস।ধৃতদের কাছ থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে নিয়োগপত্র সম্পর্কিত বেশ কিছু জাল নথি, ভুয়ো নিয়োগপত্র, দুটি মোবাইল সহ একটি চার চাকার গাড়ি। পুলিস জানিয়েছে, অভিযুক্তরা নিজেদের কল্যাণী এইমসের কর্মচারী এবং নিয়োগ প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত আছে বলে পরিচয় দিয়ে গোটা রাজ্যেই জাল বিছিয়ে ছিল। অভিযোগকারী হরিপালের বাসিন্দা শিবনাথ দে-র অভিযোগ, ২০২১ সালে দীপক দাসের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয় এবং নিজেকে রাজ্য সরকারের বড় অফিসার বলে পরিচয় দেয় সে। এরপরই শিবনাথ দে-কে চাকরির টোপ দেয় দীপক দাস।শিবনাথ দে তাঁর নিজের আত্মিয়দের কল্যাণী এইমসে চাকরি করে দেওয়ার জন্য ধাপে ধাপে ৭২ লক্ষ টাকা দেয় দীপক দাস সহ কয়েক জনকে। এরপর তাদের ভুয়ো নিয়োগপত্রও দেওয়া হয় ধাপে ধাপে পরীক্ষা প্রক্রিয়ার মাধ্যমে। চার মাস পরই শিবনাথ দে জানতে পারেন তাঁর আত্মীয়ারা প্রতারণার শিকার। এরপর গত বছর ডিসেম্বর মাসে হরিপাল থানায় লিখিত অভিযোগ করেন শিবনাথ দে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নামে পুলিস। পুলিস জানিয়েছে, এর আগেও একাধিক দফতরে চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল দীপক দাসকে।
  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)