ভোটের কাজে থাকতে পারবেন না, লাভলি মৈত্রের ডিসিপি স্বামীর বদলি
২৪ ঘন্টা | ০৩ এপ্রিল ২০২৪
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: তৃণমূল বিধায়ক লাভলি মৈত্রের স্বামী ডিসি সাউথ-ওয়েস্ট সৌম্য রায়। ডিসিপি সাউথ ওয়েস্ট সৌম্য রায়কে সরাল কমিশন। সোনারপুর দক্ষিণের তৃণমূল বিধায়ক লাভলি মৈত্র। ভোটের কোনও কাজে থাকতে পারবেন না সৌম্য রায়, এমনটাই জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ২০২১-এর বিধানসভা ভোটের আগেও সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল সৌম্য রায়কে। বিধানসভা ভোটের পর লোকসভা ভোটেও সৌম্য রায়কে অপসারণ। লোকসভা ভোটের ১৭ দিন আগে সরানো হল ডিসিপি-কে। ইতিমধ্যেই এবিষয়ে অসন্তোষ প্রকাশ মুখ্যমন্ত্রীর। বিধায়কের স্বামী বলে কি চাকরি করবে না? প্রশ্ন মুখ্যমন্ত্রীর।
মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, 'আপনি ডাক্তার আপনার স্ত্রী ভোটে দাঁড়াতে পারে না। ও আইপিএস-এর চাকরি পেয়েছে বিয়ে করার অনেক আগে। এ আবার কী কথা! বিজেপি যা বলবে তাই শুনতে হবে। বিজেপির দালালির চোটে একটা জুমলা গর্ভমেন্ট। কিন্তু তার মানে এই নয় যে বিজেপি যা বলবে তাই করতে হবে। নিরপেক্ষ নির্বাচনের কারণে গণতন্ত্রের ন্যায়বিচার পেতে হবে। এবং সবাইকে ন্যায়বিচার দিতে হবে।'জানা গিয়েছে, মঙ্গলবারই নির্বাচন কমিশন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকে চিঠি পাঠানো হয়েছে। সেখানে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, সিপি সাউথ-ওয়েস্ট আইপিএস সৌম্য রায়কে অবিলম্বে নির্বাচন-সংক্রান্ত বিষয়ের সঙ্গে যোগ নেই, এমন কোনও পদে বদলি করার জন্য বলা হয়েছে।প্রসঙ্গত, রাজ্যে বিশেষ পর্যবেক্ষকদের জন্য গাইডলাইন কমিশনের। প্রয়োজনে অতিস্পর্শকাতর এলাকায় যাবেন বিশেষ পর্যবেক্ষক। প্রয়োজনে জেলা থেকে পর্যবেক্ষদের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ। সীমান্তবর্তী এলাকায় রাখা হবে নজর। লোকসভা ভোটে সব বুথে ওয়েব কাস্টিং। সব বুথে ওয়েব কাস্টিংয়ের সিদ্ধান্ত কমিশনের। গত লোকসভা ভোটে ৫১.৩ শতাংশ বুথে ওয়েব কাস্টিং হয়। এবার ওয়েব কাস্টিংয়ের মাধ্যমে সব বুথে নজরদারি। আজই উত্তরবঙ্গে জনসংযোগে মুখ্যমন্ত্রী। চালসার একটি চার্চে আদিবাসী মহিলাদের নাচে পা মেলালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাজালেন ধামশা। ঘটনাটি ঠিক কী? লন্ডভন্ড হয়ে গিয়েছে জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, এমনকী, কোচবিহারও। জলপাইগুড়িতে প্রাণ হারিয়েছেন ৪ জন। আহত বহু। দুর্যোগ-পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে উত্তরবঙ্গে পৌঁছে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন চালসার একটি চার্চে যান মুখ্যমন্ত্রী। স্রেফ অভ্য়র্থনা নয়, তাঁকে একটি স্মারকলিপি দেয় চার্চ কর্তৃপক্ষ। মমতা বলেন, 'আমি জানি, গুড ফ্রাইডে, ইস্টার সানডে। আমি যখন এখানে এসেছি, এই চার্চে অবশ্যই যাব। ইস্টার স্য়াটারডে-র পর প্রার্থনা করতে চেয়েছিলাম। আপনারা আমাকে সুযোগ দিলেন। আমি আপনাদের স্মারকলিপি পড়ে নিয়েছি। কিন্তু এখন আদর্শ নির্বাচনী চলছে। ভোট ঘোষণা হয়েছে। এখন তো কিছু বলতে পারব না। কিন্তু মাথায় নিয়ে নিয়েছি। কোন না কোন উপায় বের করব'।