Gold Smugglers : সীমান্তে সোনা পাচারের খেলা ঘোরাচ্ছেন ‘কাঁচা’ পর্যটকেরা!
এই সময় | ০৩ এপ্রিল ২০২৪
সোমনাথ মণ্ডল
সোনা পাচারে অন্য ছক! আন্তর্জাতিক সোনা পাচারে হাত পাকানো এজেন্টদের নিত্য নতুন ফন্দিফিকির ধরে ফেলছে বিএসএফ। কোন রুটে সোনা পাচার হতে পারে, সেই ব্লু-প্রিন্ট ফাঁস হয়ে যাচ্ছে আগেই। ফলে, ছক বদলে পর্যটকদের দিয়ে অবৈধ সোনা পাচার করে বাজিমাত করছে গোল্ড স্মাগলাররা। কমিশনের টোপ দিয়ে ব্যবহার করা হচ্ছে পর্যটকদের। মেডিক্যাল ভিসাই হোক বা ব্যবসার কারণে এ রাজ্যে এসে সোনা ব্যবসায়ীদের হাতে ৪-৫টা সোনার বাট তুলে দিলে ২০ হাজার ‘কমিশন’ পাকা!ফলে বাংলাদেশি নাগরিকদের একাংশ সোনা পাচারের ফাঁদে পড়ছেন বলেই অভিযোগ। মোটা কমিশনের লোভে সোনার বাট জুতোর সোলে, মলদ্বারে লুকিয়ে পাচার হচ্ছে। কখনও সোনার বাট গলিয়ে গয়না বানিয়ে মহিলারা পরে চলে আসছেন এ রাজ্যে। পেট্রাপোলের মতো স্থল সীমান্ত দিয়ে ট্রাক বা লরিতে মাছের পেটে কিংবা ফলের পেটিতে সোনা পাচারের চেষ্টা এখন ব্যাকডেটেড। ছক বদলে পর্যটকদের দিয়ে সোনা পাচারকেই হাতিয়ার করছে ইন্টারন্যাশনাল স্মাগলাররা। যেখানে সীমান্তের কাঁটা তার নেই, সেখান দিয়ে সোনার বাট পাচার হচ্ছে দেদার। সম্প্রতি নির্বাচন কমিশনও রাজ্যের সীমান্ত দিয়ে সোনা পাচারে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
কেন সাধারণ নাগরিকদের টার্গেট করছে পাচারকারীরা?
আসল রহস্য, সোনা কেনাবেচায় লুকিয়ে রয়েছে বলেই মনে করছে বিএসএফ। তাদের বক্তব্য, প্রতিবেশী দেশের কোনও নাগরিক বিদেশ থেকে ১০০ গ্রাম সোনা কিনে এ রাজ্যে আনলে শুল্ক দিতে হয় না। আবার, কেউ ২৩৪ গ্রাম সোনা বাংলাদেশি টাকায় কিনলে, মাত্র ২০ হাজার টাকার মতো শুল্ক দিতে হয়। একটি সোনার বিস্কুটের ওজন হয় প্রায় কমবেশি ১১৬ গ্রাম। তাই, ঝক্কি ছাড়াই ২টি সোনার বিস্কুট অনায়াসে আনা যেতেই পারে। সেই সুযোগই নিচ্ছে গোল্ড স্মাগলাররা।
বিএসএফেএর এক কর্তা বলে, ‘বিমানে সোনার বিস্কুট বা সোনার গয়না লুকিয়ে আনা বেশ কঠিন। এয়ারপোর্টে শুল্ক দপ্তরের কড়া নজরদারি থাকে। সমুদ্রপথেও নেভির কড়া নজর থাকে। ফলে বিকল্প পথ খুঁজতে হচ্ছে পাচাকারীদের।’ পশ্চিমবঙ্গ, অসম, ত্রিপুরা, মেঘালয়ের সীমান্ত দিয়ে একাংশ দিয়ে সোনা পাচারের চেষ্টা চলছে। অনেক জায়গায় সীমান্তের কাঁটা তার নেই। ফলে সুবিধা হচ্ছে সোনা পাচারে।