PooR Countries Of The World : এখানে মানুষের নিত্যদিনের জিনিস কেনাও দুষ্কর! বিশ্বের দরিদ্রতম দেশের তালিকায় কত নম্বরে পাকিস্তান
এই সময় | ০৩ এপ্রিল ২০২৪
প্রযুক্তি থেকে বিশ্বের অগ্রগতি সবই এগোচ্ছে জেট গতিতে। বিশ্বের বাড়ছে ধনী ব্যক্তিদের সংখ্যাও। তবে প্রদীপের নীচে অন্ধকারের মতো বিস্বের ধনী ব্যক্তিদের মধ্যেও রয়েছে গরিব মানুষের উপস্থিতি।পরিসংখ্যান বলছে, বিশ্বের এমন অনেক দেশ আছে যেখানে রোজকার জীবিকা নির্বাহের জন্য প্রয়োজনীয় জিনিস কেনাও মানুষের জন্য খুব দুষ্কর। এই দেশের মানুষের কাছে এক একটি পয়সার মূল্য অনেক। এইসব দেশে ক্রমাগত বেড়ে চলেছে দারিদ্র।
বিশ্বের সবচেয়ে দরি্র দেশের তালিকায় সব থেকে উপরে রয়েছে আফ্রিকার দক্ষিণ সুদান। এখানকার ১১ মিলিয়ন মানুষ চরম দারিদ্রের মধ্যে বসবাস করে। জিডিপির দিক থেকে এটা বিশ্বের সবথেকে দরিদ্র দেশ। এখানকার বার্ষিক আয় মাথাপিছু প্রায় ৪৯২ ডলার।
বিশ্বের দ্বিতীয় দরিদ্র দেশ হল বুরুন্ডি। এই দেশটি দীর্ঘদিন ধরে গৃহযুদ্ধের সম্মুখীন। এখানকার ৮০ শতাংশ মানুষ কৃষিনির্ভর।
মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র বিশ্বের তৃতীয় দরিদ্রতম দেশ। স্বর্ণ, তেল, ইউরেনিয়াম এবং হীরে মজুত থাকা সত্ত্বেও এই দেশ চরম দারিদ্রতার কবলে রয়েছে।
এরপরই তালিকায় নাম রয়েছে কঙ্গোর। মাথাপিছু জিডিপির দিক থেকে এটি চতুর্থ দরিদ্রতম দেশ। স্বৈরাচার, রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা এবং সহিংসতা কঙ্গোর অবস্থাকে আরও খারাপ করেছে।
বিশ্বের সবচেয়ে দরিদ্র দেশের তালিকায় পাকিস্তানের নামও রয়েছে। এই তালিকার ৫২ নম্বরে রয়েছে পাকিস্তানের নাম। পাকিস্তানে ক্রমাগত বাড়ছে দারিদ্র। এখানকার মানুষের সবথেকে বড় সমস্যা হল দ্রুত বেড়ে চলা মূল্যস্ফীতি এবং বেকারত্ব।
বিশ্বের দরিদ্রতম দেশগুলি গৃহযুদ্ধ. জাতিগত এবং সাম্প্রদায়িক সংঘাতের শিকার। যা কোভিডের সময় আরও বেড়েছে ফলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়ে গেছে।
মানুষ যাতে একটি ভালো এবং পরিমিত জীবনযাত্রা উপভোগ করতে পারে তা নিশ্চিত করার জন্য বিশ্বের যথেষ্ট সম্পদ এবং সংস্থান রয়েছে। তবুও বিশ্বের এই সব দেশগুলি প্রচণ্ড দারিদ্রের মধ্যে বসবাস করছে। বিশ্বের সবচেয়ে দরিদ্র দেশের তালিকায় আফগানিস্তান, সিরিয়া ও ইয়েমেনের নামও রয়েছে। এইসব দেশগুলিতে বছরের পর বছর চলা সংঘাতের ফলে নির্ভরযোগ্য অর্থনৈতিক পরিসংখ্যানের অভাব রয়েছে যারজন্য এই দেশগুলিকে সঠিক মূল্যায়নের চেষ্টা করাও অসম্ভব।
কোভিডের আগে বিশ্ব জনসংখ্যার মধ্যে কিছু মানুষ চরম দারিদ্রের মধ্যে বাস করেও দৈনিক ১.৯০ ডলারের কম আয় করত। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এই উপার্জনের হার, ১৯৯০ সালে ৩৫ শতাংশেরও বেশি মানুষের ছিল। কোভিডের পরে ত ১০ শতাংশ নেমে গেছে। কোভিড মহামারি এই আর্থিক অগ্রগতিকে শুধু থামায় নি পুরোপুরি উল্টে দিয়েছে।