• মরা মৌমাছি নিয়ে থানায় বিক্ষোভ মৌ-পালকদের
    এই সময় | ০৩ এপ্রিল ২০২৪
  • এই সময়, বহরমপুর: হাজার হাজার মরা মৌমাছি নিয়ে থানার সামনে বিক্ষোভ! এমনই অবাক করা দৃশ্য দেখা গেল বহরমপুর থানা চত্বরে। কোথা থেকে এল এত মৌমাছি? হাজারে হাজারে তারা মরলই বা কেন? আসলে মৌমাছির গাড়ি আটকে ছিলেন আরটিও অফিসার। মোটা অঙ্কের টাকা জরিমানা করেন তিনি। তা নিয়ে প্রচুর তর্ক-বিতর্কের মাঝেই পার হয়ে যায় প্রচুর সময়। দীর্ঘক্ষণ গাড়ি আটকে থাকায় দেড়শো বাক্সে থাকা হাজার হাজার মৌমাছি মারা যায়। ওই আরটিও অফিসারের শাস্তির দাবিতে বহরমপুর থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান মৌ-পালকেরা।লালগোলা থেকে উত্তর দিনাজপুর যাচ্ছি মৌ-পালকদের চারটি গাড়ি। রঘুনাথগঞ্জে গাড়িগুলি আটকে দেন জঙ্গিপুরের আরটিও অফিসার। বেশ কিছু সময় পার হয়ে যায় দেড়শো বাক্সে থাকা মৌমাছি মারা যায়। এর পরেই বিক্ষোভে ফেটে পড়েন মুর্শিদাবাদ ও উত্তর দিনাজপুর জেলার একশোরও বেশি মৌ-পালক।

    এই সময়টায় আম ও লিচুর মুকুল ধরে বলে প্রচুর পরিমাণে লিচুর মধু পাওয়া যায়। বিক্ষোভকারী মৌ-পালকদের অভিযোগ, মৌমাছি পালনের মরসুমে এত পরিমাণে মৌমাছি মারা যাওয়ায় তাঁরা ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়লেন। বিক্ষোভকারী মৌমাছি পালক বাগবিল্লা মণ্ডল বলেন, ‘মৌমাছি চাষের উপরে নির্ভর করেই আমাদের সংসার চলে। একসঙ্গে এতগুলো মৌমাছি মারা যাওয়ায় আমরা ব্যাপক ক্ষতির মুখে। এইভাবে আমাদের মৌমাছির গাড়ি আটকে দেওয়া উচিত হয়নি। আমরা চাই জঙ্গিপুরের আরটিও অফিসারের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হোক। নাহলে, আমরা বৃহত্তর আন্দোলনে নামব।’

    বিক্ষোভকারী মৌমাছি পালক প্রশান্ত হাজারী বলেন, ‘মৌমাছি পরিবেশ বান্ধব পতঙ্গ। এ ভাবে মৌমাছির মৃত্যু হলে পরিবেশের বড় ক্ষতি হয়ে যাবে। কিন্তু শুধুমাত্র টাকা আদায়ের জন্য আমাদের গাড়ি আটকে হাজার হাজার মৌমাছিকে হত্যা করা হয়েছে। আমরা সুবিচার চাই।’ এই ব্যাপারে প্রশাসনের কেউ মুখ খুলতে চাননি।
  • Link to this news (এই সময়)