• Election Commission : স্বচ্ছতার স্বার্থে সব বুথেই ওয়েবকাস্টিং, সক্রিয় কমিশন
    এই সময় | ০৩ এপ্রিল ২০২৪
  • এই সময়: লোকসভা ভোটে রাজ্যের সমস্ত বুথে ‘ওয়েবকাস্টিং’ করবে নির্বাচন কমিশন। এর ফলে বুথে কী ঘটছে, তার পুরোটাই কলকাতায় বসে দেখতে পারবেন কমিশনের কর্তারা। সেই মতো নির্দেশ যাবে আধিকারিকদের কাছে। ভোট পরিচালনায় এ বারই প্রথম এআই (আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স) ব্যবহৃত হবে।বুথের ভিতরে ও বাইরে থাকবে সিসিটিভি ক্যামেরা। প্রয়োজনে তার ফুটেজও দেখবেন কমিশনের প্রতিনিধিরা। ‘ওয়েবকাস্টিং’ কী? তা হলো এক ধরনের মিডিয়া স্ট্রিমিং প্রযুক্তি, যার সাহায্যে একসঙ্গে অনেকের কাছে কোনও লাইভ দৃশ্য (ভিডিয়ো ও অডিয়ো) পৌঁছনো যায়। এতে ইন্টারনেট বাধ্যতামূলক। এবং এ জন্য আলাদা করে লাইসেন্স নিতে হয়। বুথে নজরদারিতে কয়েক বছর ধরেই এই প্রযুক্তি ব্যবহার করছে কমিশন।

    সূত্রের খবর, প্রথমে ঠিক হয়, রাজ্যের ৫২ শতাংশ বুথে ‘ওয়েবকাস্টিং’ হবে। কিন্তু স্বচ্ছতার স্বার্থে সব বুথেই তা করার নির্দেশ এসেছে দিল্লি থেকে। রাজ্যে এ বার ৮০ হাজার ৪৫৩টি বুথে ভোটগ্রহণ হবে। কমিশনের এক শীর্ষকর্তা জানান, অতীতের অভিজ্ঞতায় দেখা গিয়েছে, ‘ওয়েবকাস্টিং’ হলে অভিযোগ কম আসে।

    কারণ, এর মাধ্যমে বুথের লাইভ ছবি দেখতে পাওয়া যায়। ফলে কেউ গোলমাল পাকালে শনাক্ত করতে সুবিধা হয়। দুষ্কৃতীরা তাই সাবধান থাকে। বাংলায় শান্তিপূর্ণ ও অবাধ নির্বাচনের স্বার্থে সব বুথেই ওয়েবকাস্টিংয়ের দাবি জানিয়েছে বিজেপি-সহ বিভিন্ন বিরোধী দল। এতে কমিশনের কাজেও সুবিধা হবে। এমনিতেই ভোটের দিন অজস্র অভিযোগ জমা পড়ে কমিশনে।

    আমজনতার পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলিও অভিযোগ জানায়। যেগুলি অনেক সময়েই ভুয়ো বলে জানা যায়। মিথ্যা অভিযোগের জেরে কেন্দ্রীয় বাহিনীও বিপথে চালিত হয়। ‘ওয়েবকাস্টিং’ হলে সেই আশঙ্কা থাকবে না। গোলমালের খবর মিললে লাইভ স্ট্রিমিংয়েই অভিযোগের সত্যতা যাচাই করতে পারবে কমিশন।

    তবে এই ব্যবস্থায় সবচেয়ে বড় সমস্যা তৈরি করতে পারে ইন্টারনেট-কানেকশন। রাজ্যে এমন অনেক প্রত্যন্ত এলাকা রয়েছে, যেখানে ইন্টারনেট যোগাযোগ ভালো নয়। সেখানকার বুথে ‘ওয়েবকাস্টিং’ সম্ভব হবে কি না, তা নিয়ে সন্দিহান অনেকেই। কমিশনের এক কর্তা অবশ্য জানান, ‘ওয়েবকাস্টিং’ না হলেও সিসিটিভি ক্যামেরা সর্বক্ষণ চালু থাকবে। ভবিষ্যতের জন্য সেই ছবি স্টোর করে রাখা হবে।
  • Link to this news (এই সময়)