সল্টলেকে 'বেআইনি ভাবে নির্মাণ' করা বাড়িতেই BJP-র কার্যালয়! চরমে রাজনৈতিক তরজা
এই সময় | ০৩ এপ্রিল ২০২৪
গার্ডেনরিচের ঘটনার পর বেআইনি নির্মাণ নিয়ে আরও কড়া প্রশাসন। শহরের কোথাও বেআইনি নির্মাণ যাতে গজিয়ে না ওঠে সেই জন্য অ্যাপের মাধ্যমে নজরদারি চালাচ্ছে কলকাতা পুরসভা। অন্যদিকে, বেআইনি নির্মাণ চিহ্নিত করে মালিককে চিঠি দিচ্ছে বিধাননগর পুরনিগমও।এবার বেআইনি নির্মাণ করায় সল্টলেকের এফডি ব্লক এ ১৮০ নম্বর বাড়িটিকে নোটিশ ধরাল বিধাননগর পুরনিগম। এদিকে এই বাড়িটিকেই অস্থায়ী নির্বাচনী কার্যালয় করা হয়েছিল BJP-র পক্ষ থেকে। 'রাজনৈতিক প্রতিহিংসা'-র দাবিতে যখন সুর চড়াচ্ছে গেরুয়া শিবির, সেই সময় পুরসভার স্পষ্ট জবাব, বেআইনি নির্মাণের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করতেই এই চিঠি।
বাড়ি মালিক তিন তলাটি ভাড়া দিয়েছিলেন BJP-র নির্বাচনী কার্যালয়ের জন্য। বাড়িতে ঢোকার মূল ফটকে বিধাননগর পুরসভার পক্ষ থেকে একটি নোটিশ সাঁটানো হয়েছে। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে বাড়িটির একাধিক অংশে অবৈধ নির্মাণের এবং একতলায় অবৈধভাবে গেস্টহাউস তৈরির জন্য ভাড়া দেওয়ার কথাও।
পাশাপাশি ওই নোটিশে বাড়ির মালিককে সাত দিন সময় দেওয়া হয়েছে ওই অবৈধ নির্মাণ চিহ্নিত করে ভেঙে ফেলার জন্য। এরপরেই সুর চড়াতে শুরু করছে গেরুয়া শিবির। বেআইনি নির্মাণের তথ্য়ে খুব একটা বেশি আমল না দিয়ে গোটা বিষয়টিকে রাজনীতির আলোকেই দেখছেন তাঁরা। এদিকে BJP নেতাদের সুরে সুর মেলাতে দেখা গিয়েছে বাড়ির মালিক চন্দ্র মোহন সরকারকেও।
এই প্রসঙ্গে BJP-র সহ বারাসত জেলার সহ সভাপতি মৃগাঙ্ক ভট্টাচার্য বলেন, 'BJP নির্বাচনী কার্যালয় করেছে এটা ওদের পছন্দ নয়। ওদের পছন্দ অনুযায়ী গাছের পাতা নড়বে কিনা ঠিক হবে। সল্টলেকের ১০০টা নির্মাণের মধ্যে ৯০ টা বেআইনি।'
তিনি আরও বলেন, 'আমাদের দলের লোকজন বেআইনি নির্মাণ নিয়ে মামলা করেছে। তার প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্টের অর্ডার হয়েছে। কিন্তু, তা সত্ত্বেও কারও ঘুম ভাঙছে না। বাড়িটা অনেক পুরনো। এখন কেন নজরে এল! আমাদের নির্বাচন কার্যালয় চলবে। বাকি যা যা পদক্ষেপ করার বাড়ি মালিক করবে।'
এদিকে গোটা ঘটনার সঙ্গে দূর দূরান্ত পর্যন্ত রাজনীতির কোনও যোগসূত্র নেই, তা স্পষ্ট করা হয়েছে পুরসভার পক্ষ থেকে। এই প্রসঙ্গে বিধাননগর পুরনিগমের মেয়র পারিষদ বাণীব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ' গার্ডেনরিচের পর বেআইনি নির্মাণ নিয়ে আমরা আরও কড়া পদক্ষেপ করছি। এদিন কাকতালীয়ভাবে ওই বাড়িতে নোটিশ গিয়েছে। কাল অন্য কোথাও যাবে। বেআইনি নির্মাণ খুঁজে দেখা হচ্ছে। তাদের নোটিশ পাঠানো হচ্ছে। বিজেপির পার্টি অফিস বলে নোটিশ দেওয়া, এমনটা নয়। বাড়ির মালিক কি আদৌ বাড়ির মালিক? BMC-র থেকে জানতে পেরেছি পুরনো বাড়ির মালিক অন্য। পুরসভার বিল্ডিং রুল মোতাবেক কাজ করা হবে।'