এই সময়: বর্ধমান শহরে মানুষকে ‘খুবলে খাওয়া’ জীবের অস্তিত্ব নিয়ে হইচই হাইকোর্টে! স্বস্তিক সমাদ্দার নামে কলকাতা হাইকোর্টের এক তরুণ আইনজীবীর বর্ধমানে রহস্যমৃত্যুর পিছনে কোনও হিংস্র জন্তুর আক্রমণ দায়ী বলে পুলিশের দাবি। কিন্তু এই তত্ত্ব মানতে নারাজ হাইকোর্টে স্বস্তিকের সহকর্মী আইনজীবীরা।মঙ্গলবার এ সংক্রান্ত মামলায় আইনজীবী জয়ন্ত নারায়ণ চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে স্বস্তিকের সিনিয়র ও সহকর্মীরা আদালতে যুক্তি দেন — তাঁর মুখ বিকৃত হলেও শরীরের অন্য অংশে কোনও আঁচড় ছিল না। তাই পুলিশের এই বন্য জন্তুর আক্রমণের তত্ত্ব ‘স্বপ্নবিলাস’ বলে মনে করছেন এঁরা। তাঁদের প্রশ্ন, তর্কের খাতিরে জন্তুর আক্রমণের তত্ত্বকে ঠিক বলে ধরে নেওয়া হলেও স্বস্তিকের মোবাইল, ওয়ালেট থেকে স্মার্ট ওয়াচ গায়েব হলো কী করে?
এ দিকে, মৃতের দেহের ময়না-তদন্ত রিপোর্টের উপরে দ্বিতীয় বিশেষজ্ঞের ওপিনিয়ন নিয়েছে রাজ্য। সেই রিপোর্টেও বন্য জন্তুর আক্রমণের পক্ষেই মত দেওয়া হয়েছে। যা দেখে কিছুটা বিস্মিত হাইকোর্ট। বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত নির্দেশ দেন, কোনও অবসরপ্রাপ্ত মেডিকোলিগ্যাল এক্সপার্টকে দিয়ে ফের ওই ময়না-তদন্তের রিপোর্ট দেখে নতুন করে মতামত নিতে হবে।
২৯ এপ্রিল পরিবর্তী শুনানিতে সেই রিপোর্ট দেখে পরবর্তী নির্দেশ দেবে কোর্ট। এ দিন মৃতের পরিবারের আইনজীবীরা অবসরপ্রাপ্ত ময়না-তদন্ত এক্সপার্ট এ.কে গুপ্তকে ওই দায়িত্ব দেওয়ার আবেদন জানান। গত বছর আইআইটি-খড়্গপুরের ছাত্র ফয়জল আহমেদের রহস্যমৃত্যুতে রাজ্যের আত্মহত্যার তত্ত্ব খারিজ করে ওই চিকিৎসকই খুনের তত্ত্ব সামনে এনেছিলেন। এখন সেই খুনের অভিযোগের তদন্ত চলছে।
যদিও মঙ্গলবার রাজ্যের আইনজীবী ওই চিকিৎসককে নিয়োগের বিরোধিতা করে তাঁকে ‘পক্ষপাতদুষ্ট’ বলে অভিযোগ করেন। যে কোনও অবসরপ্রাপ্ত চিকিৎসককে দিয়ে রিপোর্টটি খতিয়ে দেখে মতামত নেওয়ার দায়িত্ব রাজ্যকেই দেয় আদালত।