এই সময়, শিলিগুড়ি: জেলা ও প্রদেশ কংগ্রেসের আপত্তি ধোপে টিকল না। তাদের অগ্রাহ্য করেই ভারতীয় গোর্খা পরিসঙ্ঘের সর্বভারতীয় সভাপতি মুনিশ তামাংকে দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী ঘোষণা করল এআইসিসি। প্রার্থী হিসাবে মুনিশ তামাংয়ের নাম ঘোষণা হতেই শিলিগুড়িতে কংগ্রেসের অন্দরের ক্ষোভ প্রকাশ্যে চলে এসেছে।প্রদেশ কংগ্রেসের অন্যতম সাধারণ সম্পাদক বিনয় তামাং বলেছেন, ‘আমি কোনও অবস্থাতেই মুনিশ তামাংকে প্রার্থী হিসাবে মেনে নিতে পারব না।’ মুনিশকে নিয়ে বিনয় তামাংয়ের আপত্তির অন্যতম কারণ, কংগ্রেসের এই দিল্লিবাসী প্রার্থীকে দার্জিলিংয়ের বাসিন্দারা চেনেন না। গোর্খাল্যান্ড আন্দোলনের সময়ে তিনি কখনও কখনও এসেছেন বটে, তবে বৈঠক শেষ করে ফের ফিরে গিয়েছেন দিল্লি।
সেই মুনিশ তামাং আচমকা কংগ্রেসে যোগ দিয়ে প্রার্থী কী করে হয়ে গেলেন, সেটাই পাহাড়ের কংগ্রেস কর্মীদের মাথায় ঢুকছে না। তাঁদের সন্দেহ, এ আইসিসির কয়েকজন সদস্যকে ভুল বুঝিয়েছেন হামরো পার্টির সভাপতি অজয় এডওয়ার্ডস। যেদিন মুনিশ তামাং কংগ্রেস যোগ দেন, সেদিনই হামরো পার্টিও ইন্ডিয়া জোটে সামিল হয়। তখনই সংবাদ মাধ্যমের কাছে বিনয় তামাং সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন যে, মুনিশ তামাংকেই দার্জিলিং কেন্দ্রের প্রার্থী করা হতে পারে।
দার্জিলিং জেলা কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বিনয় তামাংয়ের নাম প্রার্থী হিসাবে বিবেচনার জন্য পাঠানো হয় দিল্লিতে। এখন বিনয় তামাংকে সামলানোর জন্য বৈঠকে বসা হবে বলে জানিয়েছেন জেলা কংগ্রেসের অন্যতম সাধারণ সম্পাদক জীবন মজুমদার। তিনি বলেন, ‘প্রার্থী নিয়ে ক্ষোভ অনেকের মধ্যেই রয়েছে। তবে এআইসিসির সিদ্ধান্ত সবাইকে মানতে হবে। বিনয় তামাংকে ডেকে এই ব্যাপারে আলোচনা হবে।’
সিপিএমের জেলা সম্পাদক সমন পাঠক বলেন, ‘কংগ্রেস যাকে দার্জিলিং আসনে প্রার্থী করবে, তার হয়েই সিপিএম প্রচার করবে। কেবল সিপিএম নয়, গোটা দার্জিলিং জেলা বামফ্রন্টই নামবে।’ তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করে অজয় এডওয়ার্ডস বলেন, ‘মুনিশ তামাং ভারতের দেড় কোটি গোর্খার প্রতিনিধি। তাই তাঁকে প্রার্থী করার সিদ্ধান্ত এআইসিসির। আমার কোনও ভূমিকা নেই।’