এপ্রিলে রাজ্য সরকারি কর্মীদের পোয়া বারো, দু’বার ঢোকে বেতন, কেন জানেন?
এই সময় | ০৩ এপ্রিল ২০২৪
সাধারণত প্রতি মাসের ২৮ থেকে ৩০ তারিখের মধ্যেই সেই মাসের বেতন রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ক্রেডিট হয়ে যায়। কিন্তু এপ্রিল মাসে তা হয় না। মার্চের মাইনে সরকারি কর্মীরা পেলেন মঙ্গলবার, ২ তারিখ তাও সন্ধ্যায়। নবান্নের কর্তারা বলছেন, 'একেবারেই রুটিন বিষয়। মার্চের মাইনে ঢুকতে সব বছরই দেরি হয়। সেটা হয় এপ্রিলে।'নবান্ন সূত্রে খবর, মার্চ মাস যেহেতু আর্থিক বছরের শেষ মাস, তাই প্রতি মাসের মতোই সরকারি চাকুরেদের পে-বিল করা হলেও, মাইনের টাকা প্রাপকদের অ্যাকাউন্টে ঢোকে নতুন আর্থিক বছরের প্রথমে অর্থাৎ এপ্রিলে। প্রতিবছরই মার্চে সরকারি চাকুরেরা কোনও মাইনে পান না এবং এপ্রিলে দু'বার মাইনে পান। এটাই রীতি। এপ্রিলের ২-৩ তারিখ একবার এবং এপ্রিলের শেষে ২৮-২৯ তারিখ আবার মাইনে হয়।
গত বছর এপ্রিলের ৩ তারিখ মাইনে ঢুকেছিল সরকারি কর্মীদের। এবার বেলা ১২টা পেরিয়ে গেলেও মাইনে না আসায় প্রায় সকলেই একটু বিচলিত হয়ে পড়েছিলেন। প্রথমে কেউ কেউ ভাবছিলেন, তাঁর নিজস্ব ব্যাঙ্কের সার্ভারে কোনও সমস্যা হয়েছে । তাই বিকেল পেরিয়ে গেলেও মাইনে ক্রেডিট হচ্ছে না।
অবশেষে সন্ধ্যেবেলায় সকলে বেতন পেয়েছেন। প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, ‘রাত ৮টার পর মাইনে ঢুকেছে। অন্য মাসে মাইনে ক্রেডিট হলে ব্যাঙ্ক মেসেজ পাঠায়। কাল কোনও ব্যাঙ্কই মেসেজ পাঠায়নি। অধিকাংশ কর্মচারীরাই রাতের দিকে অ্যাকাউন্ট চেক করে জেনেছে।’ তিনি বলেন, ‘বছরের শেষে ৩১ মার্চ অবধি ব্যাঙ্কের সমস্ত ট্রানজেকশনের হিসাবপত্র চলে এবং নতুন বছরের শুরু জিরো ব্যলান্স থেকে হয় বলেই মার্চে মাইনে হয়না, এপ্রিলে হয়।’
গত তিন মাসের কবে কোন দিন বেতন ঢুকেছে সরকারি কর্মীদের? প্রশাসনের একটি সূত্রে খবর, ২৯শে ডিসেম্বর, ৩০শে জানুয়ারি, ২৭ ফেব্রুয়ারি মাইনে পেয়েছিলেন সরকারি কর্মীরা। সকাল সকাল বেতন অ্যাকাউন্টে ক্রেডিটেড হয়ে যায়। বহু ব্যস্ত কর্তা থেকে কর্মচারী অফিস যাওয়ার পথেই প্রয়োজনে হাতে ক্যাশ পেয়ে যান, অর্থাৎ দিনভোর অপেক্ষায় থাকতে হয় না। ৩০ জানুয়ারি থেকেই বর্ধিত হারে বেতন পেয়ে আসছেন সরকারি কর্মীরা। গত বছর ২১ ডিসেম্বর সরকারি কর্মীদের জন্য ৪ শতাংশ DA ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দেড় মাসের মাথায় ফের বাজেটে DA-র ঘোষণা করা হয়। বর্ধিত DA সহ মাইনে মিলবে আগামী মে মাস থেকে। মোট ১৪ শতাংশ DA পাবেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা। একটা বড় অংশ এই সিদ্ধান্তে খুশি। আবার অনেকের একটাই দাবি, কেন্দ্র-রাজ্য ফারাক তো সেই রয়েই গেল!