TET Recruitment : প্রাথমিকের কোন জেলায় কত ফাঁকা পদ? যোগ্যদের চাকরির জন্য বড় পদক্ষেপ হাইকোর্টের
এই সময় | ০৩ এপ্রিল ২০২৪
একের পর এক মামলার জেরে প্রকৃত যোগ্যদের চাকরি না হওয়ায় ‘পর্ষদের অসহযোগিতায়’ চরম বিরক্ত কলকাতা হাইকোর্ট। বুধবার ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষার উর্দুর প্রশ্ন ভুলের মামলা ওঠে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে। সেখানেই বিচারপতির স্পষ্ট নির্দেশ, আগামী ১৭ এপ্রিলের মধ্যে রাজ্য সরকারকে একটি রিপোর্ট দিতে হবে। সেখানে জানাতে হবে প্রাথমিকের কোন জেলায় কত ফাঁকা পদ রয়েছে। একইসঙ্গে জানাতে হবে, রাজ্যে বর্তমান শিক্ষকের সংখ্যা কত।আদালত আরও নির্দেশ দিয়েছে, কোনও সুপার নিউমেরারি পোস্টের হিসাব এই তালিকায় আনা যাবে না। বোর্ডের ওই রিপোর্ট পাওয়ার পরেই আদালত তার পরবর্তী নির্দেশ দেবে, তা জানা গিয়েছে। আদালতের স্পষ্ট অবস্থান- মূলত মামলার জন্য যে সমস্ত যোগ্য প্রার্থীর নিয়োগ আটকে আছে তাদের নিয়োগ কোনওভাবে আটকে রাখা যাবে না।
এদিন প্রাথমিকের ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষার উর্দুর প্রশ্ন ভুলের একটি মামলার শুনানি করতে গিয়ে বিচারপতি মান্থার পর্যবেক্ষণ,দিনের পর দিন মামলা চলছে। আর এই মামলার মধ্যে প্রকৃত যোগ্যরা নিয়োগ পাচ্ছেন না। তাঁদের নিয়োগ আটকে রাখা হচ্ছে। চাকরিতে প্রকৃত যোগ্যরা বঞ্চিত থেকে যাচ্ছেন এবং এই মামলার গেরোয় তাঁদের বয়স চলে যাচ্ছে বলেও উদ্বেগ প্রকাশ করে আদালত।
আদালতের পর্যবেক্ষণ, পর্ষদ এই নিয়োগ নিয়ে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করুক। তাদের অসহযোগিতাতেই নতুন নিয়োগ বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে বলে মনে করে হাইকোর্ট।
অন্যদিকে, সম্প্রতি সময়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট জানিয়েছিলেন, নিয়োগ নিয়ে সদর্থক ভূমিকা নিতে চায় রাজ্য সরকার।
চলতি বছর জানুয়ারি মাসে বর্ধমানে একটি সরকারি পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, 'কয়েক হাজার শিক্ষক নিয়োগ হবে। কিন্তু, রাম-বামেরা আদালতে কেস করে আটকে রেখেছে। ৬০-৭০ হাজার চাকরিপ্রার্থী স্কুলে চাকরি পেত। কিন্তু, আদালতের জটিলতায় তা আটকে। সমস্যা মিটিয়ে শূণ্যস্থান পূরণ করতে হবে। কিছু বিশেষ ক্ষেত্রে ওরা সরকারের হাত পা বেঁধে রেখেছে। যাতে শূন্যস্থান পূরণের ব্যবস্থা করা যায় সেই জন্য আমি আবেদন করব। পাশাপাশি বিভিন্ন দফতরেও একাধিক লোক নেওয়া হচ্ছে।'
অর্থাৎ রাজ্য সরকার যে নিয়োগের জন্য ইতিবাচক মনোভাব রাখছে তা স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন তিনি। লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশের আগে রাজ্যের শেষ মন্ত্রিসভার বৈঠকেও পুলিশ এবং দমকলে নিয়োগ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।