দোরগোড়ায় লোকসভা নির্বাচন। ভোটে বঙ্গ BJP-র জন্য ৩৫ আসনের টার্গেট বেঁধে দিয়েছেন অমিত শাহ, সূত্রের খবর এমনটাই। এদিকে বাংলার গেরুয়া শিবিরে এবার গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পেলেন রাধিকা ভট্টাচার্য শাহ। রাজ্য BJP-র প্রধান মুখপাত্রের দায়িত্বে রয়েছেন শমীক ভট্টাচার্য। সম্প্রতি তিনি রাজ্যসভার সাংসদ হয়েছেন। এবার বঙ্গ BJP-র মুখপাত্রের দায়িত্ব পেলেন রাধিকা ভট্টাচার্য শাহ। লোকসভা ভোটের মুখে তাঁকে এই দায়িত্ব দেওয়া অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।তিনি ইতিমধ্যেই কলকাতায় পা রেখেছেন। বাংলা ‘কর্মস্থল', আপাতত এখানেই ‘ফুল ফোকাস’ গেরুয়া শিবিরের নেত্রীর। দিলীপ ঘোষ বঙ্গ BJP-র সভাপতি থাকাকালীন গেরুয়া শিবিরে যোগদান করেন রাধিকা। ভোটের মুখে বাংলায় বিজেপির মুখপাত্রের দায়িত্ব পাওয়ার পর তিনি 'এই সময় ডিজিটাল'-কে বলেন, 'দল দায়িত্ব দিয়েছে। যা বলব দায়িত্ব নিয়ে বলব। দোরগোড়ায় লোকসভা নির্বাচন। নরেন্দ্র মোদী নতুন মানুষদের কাজ করার সুযোগ করে দিচ্ছেন। তিনি সাধারণ মানুষের জন্য একাধিক জনকল্যাণমুখী প্রকল্প চালু করেছেন।’
BJP-র কোনও স্ক্যাম বা স্ক্যান্ডেল নেইরাধিকা ভট্টাচার্য শাহ
রাজ্য BJP-র নতুন মুখপাত্রের কণ্ঠেও উঠে এল সন্দেশখালি প্রসঙ্গ। তিনি বললেন, ‘সন্দেশখালির ঘটনা সকলের সামনে এসেছে। সেখানে কী পরিস্থিতি আমরা সকলেই দেখেছি। মোদীজি মহিলাদের সার্বিক উন্নয়নে আগ্রহী। বাংলার মহিলারা তা নিশ্চয়ই বুঝবেন।’ তাঁর সংযোজন, ‘এখন আমাদের লক্ষ্য যাঁকে জিততে হবে তাঁকে ভালো করে লড়তে হবে। BJP-র কোনও স্ক্যাম বা স্ক্যান্ডেল নেই। আজ বাংলার মানুষ যা সিদ্ধান্ত নেমে পরবর্তী প্রজন্ম তার ফল পাবে। আমরা পরিশ্রম করব। সমস্ত প্রার্থীদের পরিশ্রম করতে হবে।’
কে এই রাধিকা?
তিনি জমিদার পরিবারের কন্যা। তাঁর মায়ের বাবা প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায় পেশায় ছিলেন একজন জাহাজ ব্যবসায়ী। বনেদী পরিবারে বেড়ে ওঠা রাধিকার। তাঁর স্বামী ভারতের রাষ্ট্রদূত ছিলেন ভেনেজুয়েলাতে।
রাধিকা নিজে সমাজসেবার সঙ্গে ওতোপ্রোতভাবে জড়িত। তিনি মূলত মুম্বইয়ে থাকেন। যদিও তিনি মনে প্রাণে বাঙালি, এমনটাই জানালেন রাধিকা। ঝরঝরে বাংলা বলতে পারেন তিনি। পাশাপাশি ইংরেজি, হিন্দি, মাঠারি, পঞ্জাবি, গুজরাটিতেও কথা বলতে পারেন তিনি।
ভোটের মুখে রাধিকার উপর নয়া দায়িত্ব দেওয়া অত্যন্ত ইঙ্গিতপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। রাজ্য BJP-র একাংশের কথায়, শমীক ভট্টাচার্য প্রধান মুখপাত্র হিসেবে থাকছেনই। সদ্য তিনি রাজ্যসভার সাংসদ হয়েছেন। তাঁর অভিজ্ঞতা গেরুয়া শিবিরের জন্য কার্যকর হবে। তেমনই নতুন মুখপাত্র 'তাঁর টিমে' যোগ দিলে দলের কথা পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে অনেকাংশে সুবিধা হতে চলেছে।