• স্পিডস্টার মায়াঙ্কে আত্মসমর্পণ, ফের হার কোহলিদের
    আজকাল | ০৩ এপ্রিল ২০২৪
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: মাত্র ৩ রানে ৩ উইকেট। বিনা উইকেটে ৪০ থেকে ৩ উইকেটে ৪৩। পরপর ফিরে গেলেন আরসিবির বিগ থ্রি। বিরাট কোহলি, ফাফ ডু"প্লেসি এবং গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। গড়ে গেল ম্যাচের ভাগ্য। মঙ্গলবার চিন্নস্বামীতে ২৮ রানে জিতল লখনউ সুপার জায়ান্টস। প্রথমে ব্যাট করে ৫ উইকেটের বিনিময়ে ১৮১ রান করে লখনউ। জবাবে ১৯.৪ ওভারে ১৫৩ রানে শেষ হয়ে যায় বেঙ্গালুরুর ইনিংস। চার ম্যাচের মধ্যে তিনটিতে হার কোহলিদের। আগের দিন ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচের সেরা হয়েছিলেন। এদিনও ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন মায়াঙ্ক যাদব। ১৪ রানে ৩ উইকেট শিকার আইপিএলের নতুন স্পিডস্টারের। তাঁর প্রথম ওভারের প্রথম বলেই রান আউট ডু"প্লেসি। চতুর্থ বলে শূন্য রানে ফেরেন ম্যাক্সওয়েল। মায়াঙ্কের বলে পুরানের হাতে ধরা পড়েন। নিজের প্রথম ওভারেই ম্যাচের রং বদলে দেন। দ্বিতীয় ওভারে গতিতে পরাস্ত করেন ক্যামেরুন গ্রিনকে। সরাসরি বোল্ড বড় চেহারার অস্ট্রেলীয় অলরাউন্ডার। মাত্র ১৮ রানে ৪ উইকেট হারায় বেঙ্গালুরু। ৫৮ রানের মধ্যে টপ অর্ডার ফিরে যাওয়ায় ঘুরে দাঁড়ানোর ক্ষমতা ছিল না আরসিবির। দ্বিতীয় জয় লখনউয়ের। ঘরের মাঠে অনায়াসেই জয় ছিনিয়ে নেন কেএল রাহুল।  ঘরের মাঠে টসে জিতে লখনউকে ব্যাট করতে পাঠান ডু"প্লেসি।‌ তার পুরো ফায়দা তোলেন কুইন্টন ডি"কক। ৩৬ বলে অর্ধশতরান সম্পূর্ণ করেন। চেনা ছন্দেই পাওয়া যায় প্রোটিয়া ওপেনারকে। তবে উইকেটের অন্য প্রান্তে ক্রমাগত উইকেট হারায় এলএসজি। কেএল রাহুল (২০), মার্কাস স্টোইনিস (২৪) শুরুটা ভাল করলেও বড় রান পায়নি। একাই লড়াই চালিয়ে যান ডি কক। কোহলিদের ডেরায় ছয়, চারের বন্যা বইয়ে দেন। যেভাবে খেলছিলেন, শতরান পাওয়া উচিত ছিল। কিন্তু ৫৬ বলে ৮১ রান করে আউট হন। পাঁচ নম্বরে নেমে ঝড় তোলেন নিকোলাস পুরান। পাঁচটি ছক্কা হাঁকান। ২১ বলে ৪০ রানে অপরাজিত থাকেন। ইনিংসে ছিল ৫টি ছয়, ১টি চার। তাঁর ব্যাটে ভর করেই ছোট মাঠে লড়াই করার মতো জায়গায় পৌঁছয় লখনউ। কিন্তু কেএল রাহুলদের চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলতে পারেননি ডু"প্লেসিরা। মায়াঙ্ক যাদবের কাছে আত্মসমর্পণ। শুরুটা ভাল করেও ১৬ বলে ২২ রানে আউট হন বিরাট কোহলি। ১৯ রানে রান আউট আরসিবির অধিনায়ক। গ্লেন ম্যাক্সওয়েল (০), ক্যামেরুন গ্রিন (৯), অনুজ রাওয়াত (১১) রান পায়নি। লড়াই করার চেষ্টা করেন রজত পাতিদার। একটানা ব্যর্থতার পর এদিন রানে ফেরেন। কিন্তু আবার মায়াঙ্কের গতির কাছে হার। ২৯ রান করে আউট হন। ইম্প্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে নেমে প্রভাব ফেলেন মাহিপাল লোমরোর। নিশ্চিত হার থেকে দলকে কিছুটা লড়াইয়ে ফেরান। কিন্তু অন্য প্রান্তে ক্রমাগত উইকেট হারানোয় লোমরোর কিছু করার ছিল না। ৩টি ছয় এবং চারের সাহায্যে ১৩ বলে ৩৩ রান করে আউট হন আরসিবির ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার। 
  • Link to this news (আজকাল)