নান্টু হাজরা ও বিক্রম দাস: সব্য মিথ্যে! দাবি শেখ শাহজাহানের। এদিন মেডিকেল করিয়ে ইডি আধিকারিকরা যখন শেখ শাহজাহানকে ইডি দফতরে নিয়ে আসেন, তখন শাহজাহানকে একাধিক প্রশ্ন করা হয়। সব প্রশ্নের উত্তরেই শাহজাহান বলেন, সব মিথ্যে। শেখ শাহজাহানকে প্রশ্ন করা হয় যে সাবিনা ইন্টারপ্রাইজ কি দুবাইয়ের কনসাইনমেন্টের টাকা দিত? যা উত্তরে শেখ শাহজাহন বলেন, 'সব মিথ্যে, সব মিথ্যে।' প্রসঙ্গত, শাহজাহানের টাকার উৎস সন্ধানে মরিয়া ইডি। শেখ সাবিনা ফিশারির ম্যানেজার মহিদুল মোল্লার বয়ানকে হাতিয়ার করেই শেখ শাহজাহানের সম্পত্তির হদিশ পেতে চাইছেন তদন্তকারীরা। গতকাল শেখ সাবিনা ফিশারির ম্যানেজার মহিদুল মোল্লাকে ম্যারাথন জেরা করেন তদন্তকারীরা। জেরার মুখে মহিদুল জানিয়েছে কীভাবে টাকা জমা পড়ত। আর সেই লিংক ধরেই শাহজাহানের টাকার উৎস সন্ধানে মরিয়া ইডি। টাকা কোথা থেকে আসত। কোথায় কোথায় পাচার হয়েছে। তার উত্তর খুঁজছেন তদন্তকারীরা। প্রসঙ্গত, গ্রেফতারির পর প্রথমবার মুখ খুলেই শেখ শাহজাহান বিস্ফোরক দাবি করেন, "সব মিথ্যে কথা। আল্লাহ আছে। বিচার একদিন হবেই।" স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে ইএসআই জোকাতে নিয়ে যাওয়ার জন্য শেখ শাহজাহানকে যখন নিজাম প্যালেস থেকে বের করা হচ্ছে, তখনই একথা বলেন শেখ শাহজাহান। দাবি করেন, 'সব মিথ্যে কথা।' দীর্ঘ টানাপোড়েন ও টালবাহানার পর শেখ শাহজাহানকে নিজেদের হেফাজতে পায় সিবিআই। কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ সন্দেশখালিকাণ্ডে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয়। একইসঙ্গে শাহজাহানকে হস্তান্তরের নির্দেশও দেওয়া হয়। হাইকোর্টের সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টে রাজ্যের দ্রুত শুনানির আবেদন খারিজ হয়ে যায়। হাইকোর্টের নির্দেশ বহাল রাখে শীর্ষ আদালত। যার পর হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চও শেখ শাহজাহানকে সিবিআই-এর হাতে তুলে দেওয়ার জন্য ফের নির্দেশ দেয়। যার পরই শাহজাহানকে হাতে পেতে আর কোনও বাধা থাকে না সিবিআই-এর।৫ জানুয়ারি রেশন দুর্নীতির তদন্তে সন্দেশালিতে শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশিতে গিয়েছিলেন ইডি অফিসাররা। সেই সময় ইডি অফিসাররা তাঁর নাগাল পাননি। উলটে ইডির অফিসারদের উপরই শেখ শাহজাহানের অনুগামীরা হামলায় চালায় বলে অভিযোগ। যে ঘটনায় আহত হন ২ ইডি অফিসার। মাথা ফাটে ইডি অফিসারদের। তাঁদের গাড়ি ভাঙচুরও করা হয়। সন্দেশখালিতে ইডি অফিসারদের উপর সেই হামলার ঘটনার ৫৬ দিনের মাথায় গ্রেফতার মিনাখাঁ থেকে শেখ শাহাজাহান গ্রেফতার হন।