শহরে পা রেখেই DM-দের কড়া হুঁশিয়ারি, ২ জেলা নিয়ে অসন্তুষ্ট স্পেশাল জেনারেল অবজার্ভার
এই সময় | ০৩ এপ্রিল ২০২৪
রাজ্যে এসেছেন নির্বাচন কমিশনের বিশেষ পর্যবেক্ষক অলোক সিনহা। বুধবার সকালে শহরের পা রাখেন তিনি। সূত্রের খবর, দুটি জেলার রিপোর্ট নিয়ে ‘অসন্তুষ্ট’ কমিশন। এই দুটি জেলা হল কোচবিহার এবং উত্তর ২৪ পরগনা। সূত্রের খবর, বুধবার রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককের থেকে বাংলার আইন শৃঙ্খলা প্রসঙ্গে বিস্তারিত তথ্য নেন নির্বাচনের জন্য নিযুক্ত বিশেষ সাধারণ পর্যবেক্ষক।কমিশন সূত্রে খবর, এদিন বৈঠকের শুরুতেই কোচবিহারের পরিস্থিতি নিয়ে জানতে চান বিশেষ পর্যবেক্ষক অলোক সিনহা। পাশাপাশি উত্তর ২৪ পরগনা নিয়েও বিশেষ মন্তব্য করেন তিনি। সেখানে কেন এত 'গন্ডোগোল' হচ্ছে? প্রশ্ন তোলেন অলোক সিনহা। পাশাপাশি নির্দেশ না মানলে কড়া পদক্ষেপ করতে সময় ব্যয় করবে না কমিশন, তাও স্পষ্ট করে দেন তিনি।
আবহাওয়ার পরিস্থিতি প্রসঙ্গও উঠে আসে তাঁর কথায়। ভোটের বাজারে হু হু করে বেড়ে চলেছে তাপমাত্রার পারদ। কোনওভাবেই যাতে গরম বড় বিপত্তি না ডেকে আনে সেই কারণে প্রতিটি সেক্টর অফিসে মেডিক্যাল টিম রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, এদিন ফোনে জেলাশাসকদের সঙ্গে কথা বলেন বিশেষ পর্যবেক্ষক। নির্বাচনকে সুষ্ঠু এবং অবাধ ভাবে করার জন্য আগে থেকেই নির্বাচন কমিশন নির্দেশ দিয়েছে প্রত্যেকটি রাজ্যকে। সেই মতো রাজ্যের প্রত্যেকটি জেলাশাসক তাঁদের প্রস্তুতি সারছেন।
এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মুখ্য সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, ডিজি, এডিজি আইন শৃঙ্খলা, রাজ্য পুলিশের নোডাল অফিসার, শুল্ক, শ্রম দফতরের প্রতিনিধিরা।
এছাড়াও আন্তঃসীমান্ত পরিস্থিতি নিয়েও বৈঠক হয় এদিন। এদিকে পাঁচ তারিখই রাজ্যে আসছেন বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক হিসেবে নিযুক্ত পঞ্জাবের ১৯৮৪ ব্যাচের আইপিএস অনীল কুমার শর্মা। এরপরই ৬ তারিখ বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক এবং সাধারণ বিশেষ পর্যবেক্ষকের সঙ্গে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দ্বিতীয় দফার বৈঠক হবে। বৃহস্পতিবার বিশেষ পর্যবেক্ষক নিজে দফতরে উপস্থিত থাকবেন।
উল্লেখ্য, প্রত্যেক জেলার ভোটদাতারা যাতে ভোট দিতে পারেন সেই জন্য একাধিক পদক্ষেপ করা হচ্ছে। পাশাপাশি ভোটারদের সংখ্যা যেখানে কমে যাচ্ছে সেখানেও কমিশনের তরফে চালানো হচ্ছে প্রচার। এদিন অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক অরিন্দম নিয়োগী বলেন, 'মেট্রো স্টেশনেও চালানো হচ্ছে প্রচার।'
পাশাপাশি নদিয়া থেকে বিএসএফ এবং আরপিএফের যৌথ উদ্যোগে বিপুল পরিমাণ টাকা ১ কোটি ৩৪ লাখ ৫৪ হাজার টাকার সোনার বিস্কুট এবং বার উদ্ধার হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।