• Calcutta High Court : একসঙ্গে ১৪টি বেআইনি বাড়ি! ক্ষুব্ধ কলকাতা হাইকোর্ট
    এই সময় | ০৩ এপ্রিল ২০২৪
  • এই সময়: একটি-দু’টি বা আংশিক বেআইনি নির্মাণের অভিযোগ নয়, কলকাতা শহরের বুকে পাশাপাশি ১৪টি পুরোদস্তুর বেআইনি নির্মাণের হদিশ মিলল হাইকোর্টে মামলার জেরে। আর তার প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট পুরসভাকে সময় বেঁধে ওই সব বেআইনি নির্মাণ নিয়ে শুনানি করতে বলেছে। শুনানিতে বেআইনি নির্মাণের ব্যাপারে পুরসভা নিশ্চিত হলে ওই সবক’টি নির্মাণ ভেঙে ফেলারও নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।এত দিন কী করে এতগুলি বেআইনি নির্মাণ শহরের বুকে দাঁড়িয়ে থাকে, পুরসভার কাছে সে কৈফিয়তও চলব করেছেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। পুরসভা সূত্রের খবর, ওই ১৪টি নির্মাণের মধ্যে কয়েকটি কাঁচা বাড়িও রয়েছে। গার্ডেনরিচের বহুতল ভেঙে পড়ার পরে এখন কলকাতা ও হাওড়ার বেআইনি নির্মাণ নিয়ে কড়া পদক্ষেপ করছে হাইকোর্ট। এমনই একটি মামলায় মঙ্গলবার সামনে আসে ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের ৪৪/১ ক্যানাল ইস্ট রোডে ১৪টি নির্মাণের প্রসঙ্গ।

    অভিযোগ, পুরসভার কোনও অনুমতি ছাড়াই দীর্ঘদিন ধরে ওই নির্মাণগুলি তৈরি হয়েছে। গত শুনানিতে হাইকোর্ট পুরসভাকে অভিযোগ খতিয়ে দেখে রিপোর্ট দিতে বলে। এ দিন পুরসভা জানায়, নারকেলডাঙা থানা এলাকায় ৩ নম্বর বরোর ২৯ নম্বর ওয়ার্ডে পরপর ১৪টি বেআইনি নির্মাণ রয়েছে।

    ওই এলাকায় দেদার বেআইনি নির্মাণ নিয়ে একটি মামলা হয়েছিল হাইকোর্টে। পুরসভার আধিকারিকদের ওই জায়গা খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি সিনহা। এ দিন পুরসভার তিন ইঞ্জিনিয়ার রিপোর্ট দিয়ে জানান, ক্যানাল ইস্ট রোডে একটি প্লট নম্বরে এমন ১৪টি নির্মাণ রয়েছে। যার কোনওটিরই স্যাংশনড প্ল্যান নেই।

    বিষয়টি শোনার পরেই বিচারপতি সিনহা পাল্টা প্রশ্ন করেন, ‘এত দিন ধরে কলকাতা পুরসভা কী করছিল? কী ভাবে পুরসভার নজর এড়িয়ে চোদ্দটি বেআইনি নির্মাণ গড়ে উঠল?’ পুরসভার আইনজীবী জানান, ইতিমধ্যেই ওই বেআইনি নির্মাণগুলিকে পুর-আইনের ৪০১ নম্বর ধারায় নোটিস দেওয়া হয়েছে। বিচারপতি নির্দেশ দেন, অবিলম্বে ডিজি বিল্ডিংকে এ ব্যাপারে পদক্ষেপ করতে হবে।

    আগামী সাত সপ্তাহের মধ্যে ওই ১৪টি বেআইনি নির্মাণের মালিকদের ডেকে শুনানি করতে হবে পুরসভাকে। তাতে বেআইনি নির্মাণের ব্যাপারে নিশ্চিত হলে পুরসভা সেগুলি ভেঙে ফেলবে।
  • Link to this news (এই সময়)