লোকসভা নির্বাচনে ভোটদানের জন্য আধার কার্ড সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু, এই ভোটার কার্ডের সঙ্গে কি আধার কার্ড লিংক করা বাধ্যতামূলক? বুথের লাইনে দাঁড়ানোর আগে বিভ্রান্তি দূর করল নির্বাচন কমিশন। 'মিথ ভার্সেস রিয়্যালিটি' নামে একটি বিশেষ মাইক্রো ওয়েবসাইট/অ্যাপ চালু করেছে নির্বাচন কমিশন। ভোটাদান সংক্রান্ত সমস্ত প্রশ্নের সঠিক উত্তর রয়েছে সেখানে। ফলে ভোটদানের আগে অনায়াসেই বিভ্রান্তি দূর হবে ভোটারদের।কী জানাল কমিশন?আধার এবং ভোটার কার্ডের সংযুক্তিকরণ নিয়ে ফের একবার অবস্থান স্পষ্ট করল নির্বাচন কমিশন। জানানো হয়েছে, স্বেচ্ছায় কেউ আধার কার্ড সংযুক্ত করাতে চাইলে বা অন্য কোনও প্রয়োজনে লিংক করানো থাকলে তার সঙ্গে ভোটদানের কোনও সম্পর্ক নেই। ভোটদানের ক্ষেত্রে আধার এবং ভোটার কার্ডের লিংক বাধ্যতামূলক নয়। আধার কার্ড যুক্ত না করলে ভোটার তালিকা থেকে কারও নাম বাদ পড়বে না। 'মিথ ভার্সেস রিয়্যালিটি' শীর্ষক এই অ্যাপে সমস্ত বিভ্রান্তি দূর করল নির্বাচন কমিশন।
কিছু বিষয় নিয়ে প্রচলিত ধারণা এবং বিশ্বাস রয়েছে। সেগুলি কাটিয়ে তুলতেই বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। মাইক্রো এই ওয়েবসাইটে‘মিথ ভার্সেস রিয়্যালিটি’ অর্থাৎ প্রচলিত ধারণা বনাম বাস্তব শীর্ষক বিভাগে আধার এবং ভোটার কার্ড নিয়ে বিস্তারিত তথ্য দিয়েছে কমিশন। এই ওয়েবসাইটটির উদ্বোধন করেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার, নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার এবং নির্বাচন কমিশনার সুখবীর সিং সান্ধু।
কমিশনের বিশেষ উদ্যোগনির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, যে কোনও ব্যক্তি এই ওয়েবসাইট অ্যাক্সেস করে যে কোনও বিষয়ে প্রকৃত তথ্য যাচাই করতে পারবেন। নির্বাচন প্রক্রিয়াকে ‘ভুল তথ্য’ এবং ‘গুজব’ থেকে রক্ষা করতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে কমিশন। প্রসঙ্গত, প্রথম আধার কার্ড চালু হয়েছিল UPA সরকারের আমলে। সে সময় বলা হয়েছিল, যাদের কোনও সচিত্র পরিচয়পত্র নেই, মূলত তাঁদের একটি পরিচয়পত্র হবে এই আধার। কিন্তু, মোদী সরকারের সময় থেকে সমস্ত রকমের সরকারি সুযোগসুবিধা পাওয়ার ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক করা হয় আধার কার্ড। এই তালিকায় রয়েছে, গ্যাসের ভর্তুকি, পেনশন বা রেশন কার্ডের আবেদন। সে ক্ষেত্রে আধারের সঙ্গে ভোটার কার্ডের সংযুক্তিকরণও বাধ্যতামূলক করা হয় নানা ক্ষেত্রে। তবে ভোটাদানের ক্ষেত্রে এই সংযুক্তিকরণ বাধ্যতামূলক নয় বলেই স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।