'কেষ্টদাকে ভালবাসি, কাজল শেখকেও ভালবাসি', মন্তব্য সেই হৃদয় ঘোষের
এই সময় | ০৩ এপ্রিল ২০২৪
২০১৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচন। সেই সময় খুন হন বীরভূমের পাড়ুইয়ে খুন হন সাগর ঘোষ। আর সাগর ঘোষের খুনের ঘটনায় অনুব্রত মণ্ডলের হাত থাকার অভিযোগ তুলে আদালতে মামলা করেন নিহতের পুত্র হৃদয় ঘোষ। বলতে গেলে সেই সময় থেকেই রাজ্য রাজনীতিতে উঠে আসে হৃদয় ঘোষের নাম। আদালতের নির্দেশে ঘটনায় তৈরি হয় বিশেষ তদন্তকারী দল। কিন্তু তাতে সন্তুষ্ট হননি হৃদয়। পরে ঘটনায় সিবিআই তদন্ত চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি। পরে অবশ্য অনুব্রত মণ্ডলের হাত ধরে শাসক দলে যোগ দিয়ে ২০১৫ সালে সেই মামলা প্রত্যাহারের আবেদন করেন হৃদয়।যাঁর হাত ধরে দলে আসা, সেই অনুব্রত মণ্ডল বর্তমানে দিল্লির তিহার জেলে বন্দি। তবে অনুব্রত জেলে থাকলেও ২০২৩ সালে সেই হৃদয় ঘোষকেই বোলপুর শ্রীনিকেতন পঞ্চায়েত সমিতির ১১ নম্বর আসন থেকে প্রার্থী করে তৃণমূল। যদিও পঞ্চায়েত ভোটের বেশ কিছুদিন আগেই পথ দুর্ঘটনার কবলে পড়েন তিনি, হয় অস্ত্রপচার। তারপর দীর্ঘদিন হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন হৃদয়। যদিও ভোটের ফলাফলে দেখা যায় জয়লাভ করেছেন তিনি। বর্তমান হৃদয় পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ। এছাড়া কসবা অঞ্চল তৃণমূলের সংগঠনের দায়িত্বেও রয়েছেন তিনি। একইসঙ্গে কসবা পঞ্চায়েতের উপপ্রধান আসকাস শেখকেও দায়িত্ব দিয়েছে দল। দু'জনে এখন কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে নেমেছেন ভোটের ময়দানে।
এই প্রসঙ্গে এই সময় ডিজিটালকে হৃদয় ঘোষ বলেন, 'কষ্ট হলেও গত এক মাস ধরে বেরোচ্ছি ভোট প্রচারে। সব জায়গায় উপস্থিত থাকতে পারছি না ঠিকই, তবে চেষ্টা করছি যতটা সম্ভব উপস্থিত থাকার। আমি আর আসকাস দু'জনে কসবার দায়িত্বে আছি। এই এলাকায় প্রায় ১১ হাজারের বেশি ভোট আছে। গড়ে ২৫% করে রয়েছে সব ধরনের ভোটার। আমাদের বিশ্বাস প্রায় দেড় হাজারের বেশি ভোটে আমরা এই এলাকা থেকে লিড দিতে পারব। আর সবচেয়ে বড় বিষয় আমাদের মধ্যে কেষ্ট অনুগামী বা কাজল অনুগামী ভেদাভেদের কোনও বিষয় নেই। আমরা কেষ্টদাকেও যেমন ভালবাসি, ঠিক তেমনই কাজল শেখকেও ভালবাসি।'
প্রসঙ্গত, গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার হওয়ার পর দীর্ঘদিনব ধরেই জেলার বাইরে অনুব্রত মণ্ডল। তবে সশরীরে উপস্থিত না থাকলেও অনুগামীদের কাছে আজ কেষ্টই তাঁদের 'ক্যাপ্টেন'। তাঁর অনুপস্থিতেই জেলায় লোকসভা ভোটের লড়াইতে নেমেছে তৃণমূল। এখন লোকসভা ভোটে জেলায় কেমন ফল করে তৃণমূল।