'তোমার হয়ে আমি মনোনয়ন দেব', মায়ের অভয়বার্তা পোস্ট মহুয়ার
এই সময় | ০৩ এপ্রিল ২০২৪
মায়ের মঙ্গে নিজের হোয়াটসঅ্যাপ কথাবার্তা সোশ্যাল মিডিয়ায় তুলে ধরলেন তৃণমূল প্রার্থী মহুয়া মৈত্র। মাকে 'আসল বাঘিনী' বলেও আখ্যা দেন মহুয়া। কৃষ্ণনগরে তৃণমূল প্রার্থী মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে ইডির অভিযোগ দায়েরের বিষয়টি মঙ্গলবারই সামনে এসেছে। পিএমএলএ-তে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। একইসঙ্গে অভিযোগ দায়ের করাহয়েছে ব্যবসায়ী দর্শন হিরানন্দানির বিরুদ্ধে।মহুয়ায়ে হোয়াটসঅ্যাপ কথপোকথন শেয়ার করা করেছেন, তাতে তাঁর মাকে লিখতে দেখা যাচ্ছে, 'আমার নামে একটি পাওয়ার অফ অ্যাটর্নি তৈরি করে রাখ। যদি ওরা তোমায় গ্রেফতার করে, আমি তোমার হয়ে মনোনয়ন জমা দেব।' প্রসঙ্গত গত সপ্তাহে সপ্তাহে মহুয়া ও দর্শন হিরনন্দানিকে দিল্লিতে নিজেদের দফতরে তলব করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। মূলত বিদেশি মুদ্রা সংক্রান্ত আইন বা ফেমা লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে কৃষ্ণনগরের তৃণমূল প্রার্থীর বিরুদ্ধে। কিন্তু প্রচারের কাজে ব্যস্ত রয়েছেন, এই কথা বলে সেই তলবে হাজিরা দেননি মহুয়া। একইসঙ্গে হাজিরা দেননি দর্শন হিরানন্দানিও।
তৃণমূলের কৃষ্ণনগরের প্রার্থী মহুয়াকে এর আগেও বার দুয়েক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। যদিও মহুয়া অবশ্য প্রতিবারই সেই তলব এড়িয়ে যান। কারণ হিসাবে জানিয়েছেন, তাঁর ভোট সংক্রান্ত ব্যস্ততার কথা। শুধু তাই নয় জিজ্ঞাসাবাদ কিছুদিন পরে নির্ধারিত করার অনুরোধও জানান হয় মহুয়ার তরফে। যদিও এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের কর্তারা যে মহুয়ার লোকসভা ভোটের প্রচার সংক্রান্ত ব্যস্ততাকে গুরুত্ব দেননি তা কার্যত মঙ্গলবারের পদক্ষেপ থেকেই স্পষ্ট।
এর আগে মহুয়ার কলকাতার একটি ঠিকানায় তল্লাশি চালায় সিবিআই। পরে তল্লাশি চালানো হয় মহুয়ার কৃষ্ণনগরের একটি ঠিকানাতেও। একইসঙ্গে তাঁর দফতর এবং করিমপুরের বাড়িতেও যান তদন্তকারীরা। তবে কলকাতার ওই ঠিকানাটি অবশ্য আদতে মহুয়ার বাবা - মায়ের। জানা যায়, সিবিআই তল্লাশির সময়ে মহুয়ার মা মঞ্জু মৈত্র সেখানেই উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, 'ক্যাশ ফর কোয়ারি' ইস্যুতে সম্প্রতি তোলপাড় পড়ে গিয়েছিল রাজ্য তথা জাতীয় রাজনীতিতে। যেখানে মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে অর্থ নিয়ে সংসদে প্রশ্ন করার অভিযোগ ওঠে। সেই ঘটনায় মহুয়া মৈত্রকে লোকসভা থেকে বহিষ্কার করে এথিক্স কমিটি। যদিও তারপরেও মহুয়ার পাশে থেকেছে দল। তাঁর ফের একবার কৃষ্ণনগর থেকে ভোটের টিকিটও দেওয়া হয়েছে। সেই মতো ভোটের প্রচারেও নেমে পড়েছেন তিনি। যদিও তার মাঝেই তাঁকে তলব জারি রেখেছে তদন্তকারী সংস্থাগুলি।