খুব শীঘ্রই দিল্লি মেট্রোর মতো নানা রঙের লাইনে শহরের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়বে মেট্রো রেল। শুধু শহর কলকাতা নয় তার আশেপাশের জনপদেও ছড়িয়ে পড়ছে মেট্রো পরিষেবা। শুধু শহর নয়, আশপাশের জেলার মানুষের মেট্রো নির্ভরতা বড়েছে। ফলে বেড়েছে যাত্রী সংখ্যা। সদস্য শেষ হওয়া অর্থবর্ষে যাত্রী সংখ্যা গতবারের তুলনায় অনেকটাই বেড়েছে বলে জানিয়েছে মেট্রো কর্তৃপক্ষ।
মঙ্গলবার মেট্রোর তরফে দেওয়া এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২০২৩-২৪ সালে ১৯.২৫ কোটি যাত্রী বহন করেছে মেট্রো। ২০২২ - ২৩ সালের যাত্রী সংখ্যা ছিল ১৭.৬৯ কোটি। সদ্য শেষ হওয়া অর্থবর্ষে যাত্রী সংখ্যা ৮.৮২% বেড়েছে। বর্তমানে ব্লু লাইন, গ্রিন লাইন, পার্পল লাইন এবং অরেঞ্জ এই তিন লাইনে পাওয়া যায় মেট্রো পরিষেবা। এর মধ্যে, কলকাতা মেট্রোর ব্লু লাইন ২০২৩ - ২৪ অর্থবর্ষে ১৭.৯৪ কোটি যাত্রীকে পরিষেবা দিয়েছে। তারএর মধ্যে সর্বাধিক যাত্রী ছিল দমদম স্টেশনে। যার সংখ্যা ১,৯৬ কোটি। তারপরেই রয়েছে এসপ্ল্যানেড, ১.৩২ কোটি এবং রবীন্দ্র সদন স্টেশন, ১.২৪ কোটি।
এছাড়া, গ্রিন লাইনে ২০২৩ - ২৪ সালে ১.২২ কোটি যাত্রী চলাচল করেছে। এর মধ্যে সর্বাধিক যাত্রী ছিল শিয়ালদহ স্টেশনে। যাত্রী সংখ্যা ৪৯.৭৮ লাখ। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ যাত্রীর সংখ্যা ২১.৫৬ লাখ, সল্টলেক সেক্টর ফাইভ স্টেশনে। তৃতীয় স্থানে রয়েছে করুণাময়ী স্টেশন, যাত্রীর সংখ্যা ১২.০৮ লাখ। অন্যদিকে কলকাতা মেট্রোর পার্পল লাইনে শেষ হওয়া অর্থবর্ষে ১.৩৪ লাখ যাত্রী যাতায়াত করেছেন।
সম্প্রতি হুগলি নদীর তলা দিয়ে শুরু হয়েছে মেট্রো পরিষেবা। একই সঙ্গে নিউ গড়িয়া-হেমন্ত মুখোপাধ্যায় এবং জোকা মাঝেরহাট সেকশনে মেট্রো পরিষেবা চালু হয়েছে। এই সেকশনগুলিতে যাত্রী সংখ্যা বেড়েছে। হুগলি নদীর তলা দিয়ে মেট্রো পরিষেবা চালু হওয়াতে এসপ্ল্যানেড থেকে হাওড়া ময়দান স্বল্প সময়ে যাতায়াত অনেক সুবিধা হয়েছে। এই পরিষেবা শিয়ালদার সঙ্গে যুক্ত হলে আরও যাত্রী বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।
আর পড়ুন। দেশের চতুর্থ সেরা কলেজ, সেই IIT বম্বের ৩৬% পড়ুয়াই চাকরি পাননি ক্যাম্পাসিং থেকে!