• আদালতে জমা পড়ল না মুখ্যসচিবের রিপোর্ট, দুঃখজনক বললেন ক্ষুব্ধ বিচারপতি
    হিন্দুস্তান টাইমস | ০৩ এপ্রিল ২০২৪
  • নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কেন অভিযুক্ত সরকারি আধিকারিকদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরুর অনুমতি দিচ্ছে না রাজ্য সরকার। তার কারণ জানিয়ে মুখ্যসচিব বিপি গোপালিকাকে ৩ মার্চের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলেছিলেন বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী। নির্দিষ্ট দিনেও সেই রিপোর্ট জমা না পড়ায় ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করল কলকাতা হাইকোর্ট। বুধবার দুপুর ২টোর মধ্যে সরকারি আইনজীবীকে হাজির হয়ে কেন রিপোর্ট জমা পড়েনি তা জানাতে বলেছেন বিচারপতি। ব্যাখ্যা সন্তোষজনক না হলে মুখ্যসচিবকে আদালতে হাজিরা দিতে হতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি।

    গত ২২ মার্চ মুখ্যসচিবকে নির্দেশ দিয়ে কলকাতা হাইকোর্ট বলে, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কেন অভিযুক্ত সরকারি আধিকারিকদের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু করার অনুমতি দিতে দেরি হচ্ছে? আর এই অনুমতি দিতে কতদিন লাগতে পারে তা রিপোর্ট দিয়ে জানাতে হবে। ৩ মার্চের মধ্যে আদালতে রিপোর্ট পেশ করতে বলেন বিচারপতি বাগচী। কিন্তু বুধবারও আদালতে কোনও রিপোর্ট জমা না পড়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। বিচারপতি বলেন, আদালতের নির্দেশের পরেও মুখ্যসচিবের মতো আধিকারিক তা পালন করছেন না এটা দুর্ভাগ্যজনক। নির্দেশ দিয়ে তিনি বলেন, কেন সময় মতো রিপোর্ট জমা দেওয়া গেল না তা বেলা ২টোর সময় হাজিরা দিয়ে জানাতে হবে সরকারি আইনজীবীকে। তাঁর ব্যাখ্যা সন্তোষজনক মনে না হলে আদালতে তলব করা হতে পারে মুখ্যসচিবকে।

    এই ঘটনা নিয়ে বাম নেতা তথা আইনজীবী ফিরদৌস শামিম বলেন, ‘এই ঘটনায় স্পষ্ট, যে নিয়োগ দুর্নীতি আসলে রাজ্য সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় হয়েছে। তাই তদন্তকে বিলম্বিত করতে সব রকম চেষ্টা চালাচ্ছে সরকার।’

    নিয়োগ দুর্নীতিতে বেশ কয়েকজন সরকারি আধিকারিক গ্রেফতার হয়েছেন। নিয়ম অনুসারে তাদের বিরুদ্ধে বিচার শুরু করতে রাজ্য সরকারের অনুমতি প্রয়োজন। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে রাজ্য সরকারের কাছে সেই অনুমতি চেয়ে প্রথম চিঠি দেয় ED. তার পর প্রায় দেড় বছর কাটলেও অনুমতি দেয়নি রাজ্য সরকার। ফলে নিম্ন আদালতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বিচারপ্রক্রিয়া শুরু করা যায়নি।

     
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)